মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিলকিস বানো এবং তার পরিবারের সাথে সংহতি প্রকাশ করে নজিরবিহীন বিক্ষোভ হয়েছে সমগ্র ভারতজুড়ে। গতকাল শনিবার অনেকেই রাস্তায় নেমেছিল ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার সময় বানো গণধর্ষণ এবং তার পরিবারের গণহত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ আসামিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য গুজরাট সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে।
তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, কেরালা, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং নয়াদিল্লির মতো রাজ্যের নাগরিকরা অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
বিভিন্ন ভাষা ও উপভাষায় প্রতিবাদ করা হলেও তাদের কণ্ঠে অনুরণিত হয় একটি মাত্র দাবি, আর তা হচ্ছে- বিলকিস বানোর জন্য ন্যায়বিচার চাই।
ব্যাঙ্গালুরুর ফ্রিডম পার্কে ১৫ আগস্ট গুজরাট সরকার কর্তৃক ১১ জনের সাজা মওকুফের প্রতিবাদে শত শত লোক জড়ো হয়েছিল। বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল বহুত্ব কর্ণাটকের সদস্যরা। টুইটারে তারা লিখেছেন, ‘বিলকিস একজন মুসলিম নারী হওয়ায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন নীরবতা রয়েছে, কারণ তিনি একজন মুসলিম নারী। এটা ভুল এবং অগ্রহণযোগ্য’।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অল ইন্ডিয়া লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর জাস্টিসের জাতীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মৈত্রেয়ী কৃষ্ণান বলেছেন, ‘আমরা এখানে বিলকিস বানো ধর্ষণে দোষীদের সাজা মওকুফের জন্য গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসেছি। আমরা এখানে বিলকিসের সংগ্রামকে সমর্থন করতে এসেছি, কারণ সেখানে যা ঘটেছে তা বর্বর, অমানবিক এবং আমাদের সংবিধানের মৌলিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। মওকুফ প্রদানের কাজটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক’।
সিয়াসাত ডেইলি’র সাথে কথা বলতে গিয়ে জাতীয় মহিলা ফ্রন্টের জাতীয় সভাপতি লুবনা সিরাজ বিলকিস ও তার পরিবারের জন্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ জীবনের দাবি জানিয়েছেন।
সিরাজ যোগ করেছেন, ‘সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদে নিশ্চিত হওয়া জীবনের অধিকার দেশের সকল নাগরিকের জন্য বৈষম্য ছাড়াই নিশ্চিত করতে হবে। এটা হিন্দুত্ববাদী অপরাধীদের বাঁচাতে মওকুফ নীতির অপব্যবহার’। ব্যাঙ্গালুরু ছাড়াও, গুলবার্গ, ইয়াদগিরি হাসান, চামরাজনগর, চিকমগলুর, বাল্লারি, বিদার এবং বিজাপুরের মতো ১৫টি জেলায় বিক্ষোভ দেখা গেছে।
তেলেঙ্গানার মকদুম হলে বিক্ষোভে অংশ নেন বিশিষ্ট কর্মী খালিদা পারভীন, পদ্মজা শাহ ও ঝাঁসি গাদ্দাম। তেলেঙ্গানা মহিলা ও ট্রান্সজেন্ডার অর্গানাইজেশন জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক অশান্তি এড়াতে ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা থেকে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনীতিবিদদের কাছে পৌঁছানো এবং অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলা, দেশের প্রতিটি মহিলার সুরক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয় এ বিক্ষোভ থেকে।
মহারাষ্ট্রে গতকাল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির থানে-পালঘর ইউনিটের মহিলা কর্মীরা বিলকিস বানো মামলায় গুজরাট সরকার কর্তৃক ১১ আসামির মুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় শিবাজি স্কোয়ারে।
এছাড়াও পুনের ক্যাফে গুডলাক চকে, ঔরঙ্গাবাদে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সদস্যদের, পাঞ্জাবের জামালপুরা এবং চণ্ডীগড়ে মহিলাদের, নতুন দিল্লির যন্তর মন্তর এবং জামিয়া মিল্লিয়ায়, কেরালার কোচিতে, উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে এবং তামিলনাড়ুতে বিলকিস বানোর সাথে সংহতি ও ধর্ষকদের মুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র : সিয়াসাত ডেইলি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।