পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপির শাসনামলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের মাঝেমধ্যে নগদ অর্থও প্রদান করা হতো এমন তথ্যও আমাদের কাছে রয়েছে। শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তাফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতো। তিনি দূরদর্শী চিন্তাবান একজন মহান নেতা ছিলেন। যিনি সবার চাওয়াটাই মনে প্রাণে লালন করতেন এবং সবাই যেটা চায় তিনি সেটাই ভাবতে পারতেন। মন্ত্রী বলেন, মাত্র ৯ মাসেই এমন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কারণেই এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছিল। যার সাক্ষী আমি নিজেই।
১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী কুশীলবদের চিহ্নিত করার জোর দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করবে আমরা ভাবতেই পারিনি। এখনো আমরা বিদেশে গেলে প্রশ্নের সম্মুখীন হই যে, তোমরা তোমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছ? বিএনপির প্রতিষ্ঠা জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, তারা খুন তো করেছেই, এরপরে যেন বিচার না হয় তার জন্য কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে সেটার ব্যবস্থাও করেছিল। বিএনপি জামায়াত এ হত্যার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ২১ আগস্ট কাকে হত্যা করতে চেয়েছিল? বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার শরীরে বহমান, যিনি বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা, তাকে?
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমরা সারাবিশ্বে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে পারি বঙ্গবন্ধুর অবদানে। তিনি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন ১৯৪৮ সালেই। যখন তিনি তরুণ ছাত্র নেতা। তিনি আমাদের শুধু জাতির পিতা নন, শিক্ষকও বটে। আমরা তার ৫৫ বছরের জীবন থেকে শিক্ষা, রাজনীতি,দেশপ্রেম, নেতৃত্ব গুণাবলী এমনকি সৌজন্য শিক্ষার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অনন্য। সাবেক আইজিপি ও বঙ্গবন্ধু ললিতকলা একাডেমির চেয়ারম্যান এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।