মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের কল্যাণে পর্যবেক্ষণকারী মানবাধিকার সংগঠন ফরটিফাই রাইটস। সেখানে নিয়মানুগ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পশ্চিমা শক্তিগুলো অব্যাহতভাবে উপেক্ষা করে চলছে বলে সংগঠটি জানায়। মানবাধিকার সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ম্যাথু স্মিথ আল জাজিরাকে বলেন, মিয়ানমারে গণহত্যা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সরব হওয়ার সঠিক সময় হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, আমরা জানি সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত ঘৃণ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে এবং গত অক্টোবর থেকে সেখানকার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। স্মিথ বলেন, আমরা দেখছি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রাখাইনে ভয়াবহ গণহত্যার খবর প্রকাশ হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। পশ্চিমা সরকারগুলোর নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে স্মিথ বলেন, তারা রাজনৈতিক সংস্কারের বুলি ছুড়লেও রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে তারা উপেক্ষা করছে। মিয়ানমারের ৫২ মিলিয়ন বৌদ্ধ জনসংখ্যার মধ্যে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় এক মিলিয়ন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তারা মিয়ানমারে বসবাস করে আসলেও তাদের নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি দেশটির সরকার। অপরদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস এক বিবৃতি জানায়, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চালানো নির্যাতন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল। গত জুন মাসের একটি রিপোর্টের তথ্য পুনর্ব্যক্ত করে এতে বলা হয়, সরকার মূলত জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে...। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের ধরন স্পষ্টতই মানবতাবিরোধী অপরাধ। চলতি মাসে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্য সংখ্যালঘু হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর রক্তাক্ত নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। তাদের অমানবিক নির্যাতনে বাধ্য হয়ে এসব অসহায় রোহিঙ্গারা সীমান্ত অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই মাসে ১০ হাজারেরও অধিক মানুষ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সাম্প্রতিক নির্যাতনে প্রায় ৩০,০০০ রোহিঙ্গা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে এবং উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। ২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয় এবং এরপর থেকে তারা পুলিশ পাহাড়ায় দারিদ্র্য-পীড়িত ক্যাম্পে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানে তারা স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং তাদের আন্দোলনকে প্রচ-ভাবে দমিয়ে রাখা হয়েছে। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।