Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন বছরের শিশু নুডুলসের সঙ্গে সেফটিফিন খেয়ে খাদ্যনালীতে আটকে গেছে সেফটিপিনটি

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২২, ৭:১৫ পিএম

নাটোরের লালপুরে নুডুলসের সঙ্গে আস্ত একটা সেফটিপিন খেয়ে ফেলেছে সাহানা আক্তার জিদনী নামের তিন বছরের এক শিশু। শিশুর খাদ্যনালীতে আটকে আছে সেফটিপিনটি। বৃহস্পতিবার শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে এখানে সেফটিপিন বের করার কোন উপায় নেই। তাই শুক্রবার শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শিশু সোহানা নাটোরের লালপুর উপজেলার বড়বাঁধ এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে। শফিকুল একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
শফিকুল জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে তার মা জুলেখা বেগম নুডুলস খাওয়ানোর সময় ভুলবশত শিশুটির গলায় সেফটিপিন আটকে যায়। তাৎক্ষণিক সে বমি করতে শুরু করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। রাতেই সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এক্সরে রিপোর্টে দেখা যায়, শিশুটির খাদ্যনালীতে সেফটিপিন বিধে আছে। শিশুর বাবা আরও জানান, ওই সেফটিপিন নুডুলসে ছিল না কি অন্য কোনোভাবে খাবারে এসেছিল বিষয়টি তারা নিশ্চিত না। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাক-কান-গলা বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. নাজমুল হাসান জানান, শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এখানে খাদ্যনালি থেকে সেফটিপিন বের করা সম্ভব হয়নি।
সেফটিপিন বের করতে যে যন্ত্র প্রয়োজন সেটি তিন দিন আগে নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তিনি জানান, সেফটিপিন খাদ্যনালীতে আটকানো ঝুঁকিপূর্ণ। এটি বের করতে গিয়ে খাদ্য নালি ছিড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। #

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ