পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা রাশিয়ায় ওষুধের বাজার খুঁজছি কারণ নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়াতে ওষুধের সল্পতা দেখা দিয়েছে। তাদের ওখানে ওষুধের চাহিদা বেড়েছে। এটা আমাদের জন্য একটা সুযোগ। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দেশের খাদ্য আমদানি ও মজুত এবং ইউক্রেন-রাশিয়া থেকে আমদানির সমস্যা নিয়ে বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের ‘আমাদের ওষুধের মূল বাজার লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপ, তাহলে হঠাৎ করে কেন আমরা রাশিয়ার বাজার খুঁজছি’ প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
রাশিয়াতে ওষুধ পাঠানোর ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু কিছু রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপার আছে। সেটা যদি আমরা করতে পারি, তাহলে পাঠাতে পারবো। এছাড়া রাশিয়াতে কিভাবে আমরা ওষুধ রফতানি করতে পারি সে বিষয়ে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু কিছু পদক্ষেপগুলো সুপারিশ করেছি।
রাশিয়া থেকে বা ভারতের মাধ্যমে কিভাবে জ্বালানি তেল আমদানি করা যায় এ বিষয়ে কি আলাপ হয়েছে জানতে চাইলে এ উপদেষ্টা বলেন, আজকে এটা নিয়ে কোন আলাপ হয়নি। আজকে ওষুধ, সার ও গমের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। খাদ্য আর সারতো নিষেধাজ্ঞার বাইরে। সুতরাং সেখানে আমাদের অন্য মুদ্রা লাগবে না। ডলারেই আমরা রফতানি করতে পারবো।
পেমেন্ট পদ্ধতি নিয়ে কি আলাপ হয়েছে জানতে চাইলে সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের জানানো হয়েছে খাদ্য ও সার রফতানির ক্ষেত্রে বিকল্প মুদ্রার প্রয়োজন নেই। আজকে আমরা মূলত জানতে চাচ্ছিলাম যে কোনটাতে নিষেধাজ্ঞা আছে আর কোনটাতে নেই। যেটাতে নিষেধাজ্ঞা নেই, সেটা আমরা সহজেই নিয়ে আসতে পারি। তেলের ব্যাপারেতো নিষেধাজ্ঞা আছে। আমরাতো নিষেধাজ্ঞার বাইরে আনতে পারবো না। যে পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা ঠিক না হয়। ওটা আমরা দেখছি। ডলার সাশ্রয়ে শিপিং করপোরেশনের তিনটি অয়েল ট্যাংকারের মাধ্যমেও তেল আনার চেষ্টা চলছে।
তেলের ক্ষেত্রে বিকল্পতো ভারতের কথা বলা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিকল্পটা না। এটা হলো আমরা সব জায়গা থেকে চেষ্টা করছি। যেহেতু তেলের দাম বেড়ে গেছে, সেখান থেকে আমরা কম দামে তেল পেতে পারি চেষ্টা করছি।
বেঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, যুদ্ধরত রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খাদ্য আমদানিতে কোনো বাধা নেই। তিনি বলেন, বিশ্বের ২৪টি ব্যাংকের সঙ্গে রাশিয়ার লেনদেন রয়েছে। সেসব ব্যাংকের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে আমদানি করা খাদ্যের অর্থ ডলারে পরিশোধ করা যাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠকে দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খাদ্য আমদানিতে সমস্যা এবং দেশের সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা সবাইকে জানাতে চেয়েছি, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খাদ্য আমদানিতে কোনো সমস্যা নেই। অতএব ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ওষুধ খাতে রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে এবং অন্যান্য খাত থেকেও যাতে ডলার আয় বাড়ানো যায়, সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, স্বস্তিদায়ক আমদানি ও স্বস্তিদায়ক পরিশোধ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা দেখতে থাকেন ধারাবাহিকভাবে গম, চাল আসতে থাকবে। তিনি বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে ব্যাপক পরিসরে ওএমএসসহ খাদ্যবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এসব কর্মসূচির আওতায় টিসিবির কার্ডধারীরাও ১০ কেজি করে সুলভ মূল্যে চাল কিনতে পারবেন।
খাদ্যবান্ধব এসব কর্মসূচির কারণে শিগগিরই চালের দাম কবে আসবে এবং বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।