বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমাদের দেশের কিছু মিডিয়া আছে, সুশিল সমাজ আছে, যারা বলছে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে সুশিল সমাজ পত্রিকায় দেখে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কিনা, তারা স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাক। ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রিজভীরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সরকার পতনের। কিন্তু ১৫ সালে তারা পারে নাই, আগামীতেও পারবে না। জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে তারা ভোটে জিতে আসুক। আমরা স্যালুট করে চলে যাব। তবে তারেক জিয়া যেভাবে রিমোট কন্ট্রোলে দল চালায়, সেভাবে রিমোট কন্ট্রোলে মানুষের কাছে যাওয়া যাবে না।
কৃষিমন্ত্রী বুধবার দুপুরে যশোর পিটিআই মিলনায়তনে ‘বিদ্যমান শস্য-বিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কৃষমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রকৃত কৃষক বন্ধু। কৃষকের অর্থনৈতিক মুক্তি না হলে প্রকৃত গ্রামবাংলা গড়ে উঠবে না বলেই তিনি বিশ্বাস করতেন। গ্রামীণ বাংলার জীবনের মূল ভিত্তিই কৃষি। এজন্য কৃষির ওপর বঙ্গবন্ধু সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং খাদ্য নিরাপদ দেশ।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে যখন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, তখন সরকার মোটা টাকা ভর্তুকি দিয়ে বাজার সহনীয় পর্যায়ে রেখেছে। সরকার কৃষির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বর্তমান সরকার হচ্ছে কৃষক দরদি। সার, বীজ, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ দিয়ে কৃষকদের সাহস ও আত্মবিশ্বাসকে বাড়ানো হয়েছে। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারলে কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। সত্যিকারঅর্থে কৃষকদের ভালো জীবনযাপনের জন্য কৃষিকে বাণিজ্যিকরণ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সারের মজুদ আছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার সুযোগ যেন কেউ না পায়, তার জন্য কঠোর মনিটরিংয়ের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সার নিয়ে চতুরতার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
কৃষি সচিব মোহাম্মদ সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবির খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচারক বেনজির আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তমিজুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন।
কর্মশালায় যশোর ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১১টি জেলার কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কৃষকরা অংশ নেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রি এ কর্মশালার আয়োজন করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।