গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি-জামাত উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য আন্দোলনের নামে নাশকতা জ্বালাও-পোড়াও করার চিন্তাভাবনা করছে। তাদের প্রতিহত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আজ মঙ্গলবার বিকেল জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত জাতীয়শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট হত্যাকান্ড একই যোগসূত্রে গাথা উল্লেখ করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, সবকিছুর পেছেনে একটি সূত্র রয়েছে। একই কায়দায় দুইটি গণহত্যা করা হয়েছে। আর এসবেরপেছনে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তার বংশধর তারেক রহমান জড়িত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা শুধু কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের কোনো পরিকল্পনায় ছিলো না। দেশের বাইরে পাকিস্তান ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের পরিকল্পনায় এ হত্যাকান্ড হয়েছে। দীর্ঘদিনে এ প্ল্যাট ফরম তৈরি করা হয়েছিলো। নেপথ্যে থেকে এ হত্যাকান্ডে লিয়াজো করেছিলো জিয়াউর রহমান।
বিএনপির শীর্ষনেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিনেতারা মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন। পলাতক খুনী তারেক রহমান বলছেনগ্রেনেড হামলার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। তার প্রশ্ন মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগের জনসভা ছিলো, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কিভাবে গেলো। তারেক এসব কোথায় পেলো। খুনী, দুর্নীতিবাজ তারেকের মিথ্যাচার সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। এরা ২১ আগস্টের পেপার পত্রিকা দেখেনি?
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি বলেন, খুনী মোশতাকরা ভেবেছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলে মানুষের হৃদয় থেকে নাম মুছে ফেলতে পারবে। যে নেতার ডাকে ছাত্র, কৃষক-জনতা উজ্জীবিত হয়ে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো সে নেতার নাম মানুষের হৃদয় থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা শেখ হাসিনা মেধা, যোগ্যতায় সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলে মানুষ উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঐক্যের জাতিকে বহুধা বিভক্ত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ফিরে আসার পর দেশ আলোকোজ্জ্বল ধারায় এসেছে, অন্ধকার দূরীভুত হয়েছে। তিনি সাহসের ওপর ভর করে আমাদেরকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করেছেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শ্রম ও জনশক্তি প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মাকসুদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. স. ম. শামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ বিমান লিমিটেড এর চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।