নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভারতের দেওয়া ২৯০ রান তারা করতে নেমে স্বাগতিকদের যখন সপ্তম উইকেটের পতন হয় স্কোরকার্ডে তখন মাত্র ১৬৯ রান তুলতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। জয় তখনো ১২০ রান দূরে,হাতে আছে মাত্র ১৪ ওভার । সবাই হয়তো তখন ভেবেছিলেন আরো একটি বড় পরাজয় বরণ করতে যাচ্ছে রেজিস চাকাভার দল।
তবে ক্রিজের এক প্রান্তে তখনও লড়াই চালিয়ে রাজা সহজে হার মানার পাত্র ছিলেননা।অষ্টম উইকেট জুটিতে ক্রিস ইভানের সাথে তিনি ডুবতে থাকা জিম্বাবুয়ের তরী টেনে তোলার চেষ্টা করেন। প্রথমে ধীরে ধীরে পার্টনারশিপ তৈরি করার পর রাজা হাত খুলে খেলা শুরু করেন। ইন্ডিয়ার বোলার বেচে বেচে নিতে থাকেন 'ক্যালকুলেটেড রিস্ক'। প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা আস্কিং রেট এর সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলে শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখেন জিম্বাবুয়ের স্বপ্ন। অষ্টম উইকেট জুটিতে এই দুইজনে মিলে যোগ করেন ১০৪ রান। এর মধ্যেই এই মারকুটে জিম্বাবুয়েন পূরণ করে নেন নিজের সেঞ্চুরি। রাজার ক্যারিয়ারে এটি ষষ্ঠ এবং সর্বশেষ ছয় ওয়ানডেতে তার তৃতীয় সেঞ্চুরি।পাকিস্তান বংশদ্ভুত এই জিম্বাবুয়েন ব্যাটসম্যান যে জীবনের সেরা ফর্মে আছেন সেটি আর আলাদা করে বলার দরকার নেই।
দারুণ অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলে ৮৪ বলে ১২১ রানের জটিল অংকটা একটা সময় রাজা বানিয়ে ফেলেন ১৩ বলে ১৮ রানের সহজ সমীকরণে।পরের বলে রাজাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া ক্রিস ইভান্স এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে ক্রিজে তখনও স্বাগতিকদের আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন সিকান্দার রাজা।জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড় ও ভক্ত সমর্থকরা তখনও ঐতিহাসিক একজয়ের স্বপ্নে বিভোর। তবে সেই ৪৯ তম ওভারে ঘটে বিপত্তি। চার্দল ঠাকুরের শোয়ার বল লংনের উপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করার চেষ্টায় রাজা ধরা পড়েন শুভম গিলের হাতে। প্রচন্ড চাপের মধ্যে দৌড়ে এসে সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে তরুণ এই ভারতীয় খেলোয়াড়ের ক্যাচটা ছিল দেখার মত। ৯ চার আর ৩ ছক্কায় ৯৫ বলে ১১৫ করা রাজাকে হারিয়ে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ভারত থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে। এই ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যাবধানে জিতে নিল কেএল রাহুলের দল।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত জিম্বাবুয়ের সামনে ২৯০ রানের লক্ষ্য ধার করাতে পেরেছে ওপেনার শুভম গিলের মেইডেন সেঞ্চুরির উপর ভর করে। দারুণ ফর্মে থাকা এই তরুণ ক্রিকেটার ৯৭ বলে ১৩০ রান করে আউট হন।আগ্রাসী এই ইনিংস খেলার পথে গিল ১৫ টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। তবে গিল ছাড়া ভারতীয় দলের অন্য কোন ব্যাটসম্যান তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে। ক্যাপ্টেন কে এল রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৫৪ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন ক্রিস ইভান্স।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সিন উইলিয়ামস। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা এ বাঁ হাতির ব্যাট থেকে ৪৬ বলে এসেছে ৪৫ রান। দলীয় ৮২ রানে উইলিয়ামসের আউট হওয়ার পর ছন্দপতন ঘটে স্বাগতিকদের। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এক পর্যায়ে ১৬৯ রানে ৭ উইকেটে হারিয়ে ধুঁকতে থাকে রেজিস চাকাভার দল। এরপরই শুরু হয় রাজা বীরত্ব।তবে সেটির সফল পরিসমাপ্তি ঘটেনি।ভারতের হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন আবেশ খান।১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান খরচায় আক্সার প্যাটেল নেন দুই উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।