গতকাল সর্বশেষ সংশোধিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে গত ৩০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন ঘটেছে ২০২০ সালে।

জাতীয় পারসংখ্যান অফিস (ওএনএস) জানিয়েছে, ২০২০ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১১ শতাংশ কমেছে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, এটি ওএনএসের পূর্বানুমানের তুলনায় একটি বড় এবং ১৭০৯ সালের পর থেকে সবচেয়ে বড় পতন।

ব্রিটিশ পরিসংখ্যানবিদরা নিয়মিতভাবে জিডিপি সংশোধনী আপডেট করেন, কারণ এতে আরো বেশি তথ্য পাওয়ার যায়।

ওএনএস-এর প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, ব্রিটেন ১৭০৯ সালের ‘গ্রেট ফ্রস্ট’-এর পর ২০২০ সালে সবচেয়ে বড় পতনের সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি ওএনএস এ পতনের স্কেলকে ৯.৩ শতাংশে সংশোধিত করেছে, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় পতন।

এমনকি সর্বশেষ সংশোধনের আগেও ব্রিটেনের অর্থনৈতিক মন্দা গ্রুপ অফ সেভেনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল এবং সর্বশেষ নিম্নগামী সংশোধন এটিকে স্পেনের চেয়ে বেশি করে তোলে, যা আউটপুটে ১০.৮ শতাংশ পতন রেকর্ড করেছে।

জিডিপিতে নিম্নগামী সংশোধন স্বাস্থ্যসেবা এবং খুচরা বিক্রেতাদের থেকে কম অবদানকে প্রতিফলিত করেছে যা পূর্বে চিন্তা করা হয়েছিল। ওএনএস পরিসংখ্যানবিদ ক্রেগ ম্যাকলারেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবায় আমদের অনুমানের চেয়ে বেশি খরচ হয়েছে, যার অর্থ অর্থনীতিতে এর সামগ্রিক অবদান কম ছিল’।

ওএনএস ইতোমধ্যেই ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদত্ত রুটিন কেয়ারে পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এটি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা এবং হাসপাতালে রোগের বিস্তার কমানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। স্বতন্ত্র খুচরা বিক্রেতাদের বর্ধিত ব্যয়ের প্রতি ঘনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গিও খাতের অবদানের একটি নিম্নগামী সংশোধনের দিকে পরিচালিত করে, যখন কারখানার আউটপুট কম কাঁচামালের খরচের হিসাব নেওয়ার জন্য সংশোধন করা হয়েছিল।

ব্রিটেনের অর্থনীতি গত বছর তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ২০২১ সালের নভেম্বরে তার প্রাক-মহামারি আকার পুনরুদ্ধার করে। তবে দ্রæত ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির অর্থ এই যে, ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড আশঙ্কা করে, এ বছরের শেষের দিকে অর্থনীতি আবার মন্দায় ফিরে যাবে। ওএনএস ২০২১ ও ২০২২ এর প্রথমার্ধের জন্য জিডিপি বৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে ৩০ সেপ্টেম্বর। সূত্র : গালফ নিউজ।