গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাবি রিপোর্টার : আগামী ৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলকে ঘিরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) আহ্বান করার পর থেকেই পদ প্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দৌঁড়ঝাপ। এখন পর্যন্ত জীবন-বৃত্তান্ত জমা দিয়েছে প্রায় ৮০জন পদপ্রত্যাশী। তবে প্রতিবারই রাজশাহীর স্থানীয় নেতাদের প্রাধান্য দেয়ায় হতাশা বিরাজ করছে বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। রাজশাহীর বাইরে থেকে আসা ছাত্রলীগ নেতাদের অবমূল্যায়ন করার অভিযোগ করেন সংগঠনটির একাধিক নেতাকর্মী। এবারের কাউন্সিলে বহিরাগত আদর্শ ও ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতাদের মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দশ জন দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের মধ্যে একজন দিনাজপুর এবং তিনজন পাবনা ও নাটোর ছাড়া বাকী ছয় জনই রাজশাহীর স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা। অর্থাৎ প্রত্যেক কমিটিতেই স্থানীয়দের প্রাধান্য দেখা গেছে। বরাবরই বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাজশাহীর স্থানীয় নেতৃত্বের কারণে দেশের বাইরে থেকে আসা নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে আসছে। কিন্তু বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ রাজশাহী মহানগর আ’লীগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে এমনটিই হয় বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগ রয়েছে। শুধু স্থানীয় বা বাইরের বলে কোন কথা নয়; যারাই সৎ, যোগ্য এবং নির্ভীক হবে তারাই আগামীতে নেতৃত্বে আসবে। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনা আগামীতে বাংলাদেশকে পৌঁছানোর লক্ষ্যে যারাই কাজ করবে তাদেরই গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার দাবি জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে সভাপতি প্রার্থী মিনারুল ইসলাম।
বর্তমান কমিটির ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক ও নির্যাতিত ছাত্রলীগ নেতা এবং সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী টগর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ স্থানীয় আওয়ামী লীগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বাইরের নেতাদের তেমন কোন মূল্যায়ন করা হয় না। যার কারণে অনেক বাইরের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ থেকে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। তাছাড়া তিনি আরো বলেন, বাইরের ছাত্ররা আবাসিক হলে অবস্থান করে। ক্যাম্পাসে কোন কিছু হলেই তাদেরকে মোকাবেলা করতে হয়। কিন্তু স্থানীয় নেতারা বাড়িতে থাকেন। তাৎক্ষণিক কিছু হলে তারা সময়মত আসতে পারেন না। স্থানীয় সূত্রে না, যোগ্যতার ভিত্তিতে এবং ‘ক্লিন ইমেজধারী’ নেতাদের মূল্যায়ন করার আহ্বান জানান তিনি।
একাধিক ছাত্রলীগ নেতা অভিযোগ করে বলেন, রাবি শাখা ছাত্রলীগ মহানগর আ’লীগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। লিটন ভাই যাই করবেন তাই হবে। তিনি বরাবরই রাজশাহীর স্থানীয়দের বেছে নেন। এটা তাঁর রাজনৈতিক কৌশল। আমরা আশা করব বাইরের নেতাদের যথার্থ মূল্যায়ন করার।
এদিকে আসন্ন কাউন্সিলে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদে মরিয়া পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতারা। সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের সমাগম হয়ে ওঠছে। চলছে পার্টি অফিসে নেতাদের সাথে বসে আড্ডা, বিভিন্ন প্রগ্রামে উপস্থিতি, নেতাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন কলাকৌশল অনুসরণ করা হচ্ছে। থেমে নেই লভিং-গ্রুপিং থেকে শুরু করে উপর মহলের তদবির। এলাকার কোন বড় ভাই, আত্মীয়-স্বজন কিংবা অন্য কোন মাধ্যম দিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে রাজশাহীর স্থানীয় নেতাদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ বজায় রাখার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।