গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তিতে আল আমিন সরকারকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার।
প্রকাশ্যে খুনের ঘটনা ঘটলেও গ্রেফতার না হওয়ায় খুনিদের ভয়ে আতঙ্কে দিন পার করছেন তারা। আল আমিন রাজনীতি করতেন না। তবে আল আমিনের ভাইয়েরা রাজনীতি করেন। ভাইদের সঙ্গে বিরোধের জেরেই তাকে খুন করা হয়েছে। গতকাল রোববার বাংলাদেশ μাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আল আমিনের স্ত্রী রিতা আক্তার। সংবাদ সম্মেলন শেষে আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ক্র্যাব কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত আল আমিনের স্ত্রী রিতা আক্তার বলেন, গত ১৭ আগস্ট বুধবার রাতে কড়াইল বস্তি এলাকায় মসজিদের ভেতরে ঢুকে প্রকাশ্যে আল আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করে খুনিরা। তারা প্রথমে আল আমিনের হাত বিচ্ছিনড়ব করে ফেলে। তারপরও ক্ষান্ত হয়নি। আল আমিনকে বাঁচাতে এলে তঁর ভাই নাসির সরকারকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আল আমিনের ভাই জুয়েল অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন সকালে কড়াইলের এরশাদ স্কুল মাঠে চাচাতো ভাই জসিম উদ্দিনের ছেলে নিহাদ সরকারকে মারধর করেন স্থানীয় নুর আলমের ছেলে তুষার। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় নুর আলম আমাকে হুমকি দেন। পরে নুর আলমের নেতৃত্বে মোহাম্মদ আলী, মো. খাজাসহ ২২ জন দুই ভাইয়ের ওপর হামলা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার ওসি নূরে আযম মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আল আমিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, গত বুধবার রাতে কড়াইল বস্তিতে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আল আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে হামলায় তিন নারীসহ ছয়জন আহত হন। আর মসজিদের ভেতরে কোপানো হয় আল আমিনের ভাই নাসিরকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর ইউনিট আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন হয়। এতে পদ পাওয়া না পাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুর রহমান ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাদের খানের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ান। নিহত আল আমিন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমানের সমর্থক ছিলেন।
আওয়ামী লীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটলেও এর পেছনে রয়েছে এলাকার নিয়ন্ত্রণ। আল আমিন ও তার ভাই কাউন্সিলর মফিজুর রহমানের অনুসারী। আর হামলাকারীরা আজাদ নামের আরেকজনের অনুসারী। আজাদ কাদের খানের সমর্থক। সংবাদ সম্মেলনে আল আমিনের মা হোসপিয়ারা বেগম, শ্বশুর আবদুস সামাদ, শাশুড়ি জামেনা বেগম, বড় বোন হালিমা আক্তার ও ভগিড়বপতি দোফায়ের আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।