নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টটেনহাম হটস্পারের যখনই গোলের প্রয়োজন পড়ে, ত্রানকর্তা হিসেবে সবসময় হ্যারি কেইন দৃশ্যপটে আসেন। অন্তত শেষ ৯ বছরের হিসেবটা এমনই। বেশি দূরে তাকানোর প্রয়োজন নেই। এবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) মৌসুমেই ফিরে দেখা যাক। মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যাচে লন্ডন ডার্বিতে চেলসির বিপক্ষে হার চোখ রাঙ্গাচ্ছিল। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে স্পার্সের মহামূল্যবান ১ পয়েন্ট নিশ্চিত করলেন কেইন। এরপর গতপরশুও ইপিএলের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডার্সের বিপক্ষে স্পার্সের একমাত্র গোলটি আসে এই ইংলিশ স্ট্রাইকারের কাছ থেকে। এই গোলটি ছিল স্পার্সের জার্সিতে কেইনের ২৫০তম এবং প্রিমিয়ার লিগের ১৮৫তম গোল। আর তাতেই ম্যান্সিটির সাবেই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার কুন আগুয়েরোকে (১৮৪ গোল) পেছনে ফেলে দিলেন স্পার্স তারকা। কেইনের সামনে এখন আছেন কেবল অয়ালেন শিয়ারার (২৬০ গোল)। প্রথমার্ধে উলভসের প্লেয়াররা টটেনহাম দিকে মোট ১২টি শট নেয়। যেখানে একদমই মলিন ছিল স্বাগতিক স্পার্স। বিরতির ১৯ মিনিট পর কর্নার থেকে আসা বল ইভান পেরিসিচ ব্যাকহেড করে পাঠান কেইনের কাছে। প্রতিপক্ষ গোলকিপার জোসে সাকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দুটি মাইল ফলক ছুঁয়ে ফেলতে ভুল করেননি ইংলিশ স্টারইকার। চেলসির বিপক্ষেও কেইনের গোলটি এসেছিল ক্রোয়েট পেরেসিচের এসিস্ট থেকে।
অন্যদিকে লন্ডনের আরেক ক্লাব আর্সেনালও গতপরশু বর্নমাউথের মাঠ থেকে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে ফেরে। এদিন স্কোরশিটে নাম না তুলেও আলোচনার কেন্দ্রে গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ম্যানসিটি ছেড়ে গানার্সদের ডেরায় নাম লেখানর পর থেকে স্বমহিমায় উজ্জল এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৫ মিনিটের সময় মধ্যমাঠ থেকে জেসুস অসাধারন দক্ষতায় প্রতিপক্ষের তিন জনকে কাটিয়ে বল দেন সতীর্থকে সেখান থেকে কাপ্তান ওডেগার্ডের প্রথম গোল। এরপর আবার ও এই নরওয়েজিয়ান গোল করেন ১১ মিনিটের সময়। এবার সরাসরি জেসুসের পাস থেকে। দ্বিতীয়ার্ধের ৯ মিনিটের সময় উইলিয়াম সালিবার গোলটিতে অবশ্য সাবেক সিটিজেনের কোন ভ‚মিকা ছিল না। এই মৌসুমের ৩ ম্যাচে ২ গোল ও ৩ এসিস্ট করা জেসুস, নভেম্বরের কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ানদের তুরুপের তাস হতে যাচ্ছেন। এই গল্মেশিনের প্রশ্নগশায় পঞ্চমুখ তার বর্তমান ক্লাব ম্যানেজার মিকেল আর্তেতা, ‘জেসুস যা করছে তা আপনি শেখাতে পারবেন না। এটা জন্মগত প্রতিভা। তার নাম জড়িত ৩ গোলের (বর্নমাউথে ম্যাচে) দুটিতেই। তাকে নিয়ে আমি সত্যিই খুশি।’ আর্সেনাল এবারের লিগে প্রথম তিনটিতেই জিতে ১৮ বছরের পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। এর আগে আর্সেন ওয়েঙ্গারের অধীনে ২০০৪/০৫ মৌসুমে প্রথম ৩ ম্যাচে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিল গানার্সরা।
এদিকে স্প্যানিশ লা লিগায় ভিগো থেকে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। কাসেমিরোর প্রস্থান নিশ্চিত হবার পর এটাই লস বø্যাঙ্কসদের প্রথম ম্যাচ ছিল। সেল্টার বিপক্ষে চুয়ামেনি ও কামাভিঙ্গার সাথে অভিজ্ঞ মদ্রিচকে নিয়ে সাজানো রিয়ালের মিডফিল্ডের পারফরম্যান্স দেখে রিয়াল সমর্থকরা তাই স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতেই পারেন। ম্যাচে রিয়াল ৪ গোল করলেও ভালভার্দের করা চতুর্থ গোলের পর ভাষ্যকার বলে উঠলেন ‘ফেন্টাসটিক ফোর’। কেন, সে ব্যাখা একটু পরেই পাবেন। পেনাল্টি থেকে ম্যাচের ১৪ মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন গোলমেশিন বেনজেমা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে সেল্টার আসপাসের সমতাসূচক গোলটিও আসল পেনাল্টি থেকে। বিরতির ৪ মিনিট আগে আলাবার পাস থেকে মদ্রিচের ট্রেডমার্ক দূর পাল্লার শট সেল্টার জালে পৌঁছালে এগিয়ে যায় আনচেলত্তির দল। বিরতির পর ৫৬ মিনিটে সেই মদ্রিচের মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো অসাধারণ পাস থেকে চোখ ধাঁধানো গোল ভিনিসিয়ুসের। ঠিক ১০ মিনিট পরে ভালভার্দে যখন গোল করেন তখন চক্রপূরণ হয় ভিন্ন চার ক্ষমতার চারজনের স্কোরশিটে নাম আসায়। তখনই মার্ভেলসের সুপারহিরো কমিক ‘ফেন্টাস্টিক ফর’ এর নাম নেন ভাষ্যকার। ২ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে টেবিলের চ‚ড়ায় এখন রিয়াল।
পর্তুগীজ লিগে পোর্তো ও স্পোর্টিং সিপির ম্যাচ পর্তুগীজ ক্লাসিকো নামে পরিচিত। সেখানে বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহ‚র্তে এভানিলসের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক পোর্তো। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে পিছিয়ে পড়া সিপির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পেদ্রো পরো লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় লিসবনের দলটি। ৭৭ ও ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি গোল করে জয়ের ব্যবধান বাড়ান উড়িবো ও জ্বালেনো। ৩-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে কনসেইসার দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।