মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তৃতার সরাসরি সম্প্রচার নয়। ইমরান খানের জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে দেশের বৈদ্যুতিক সংবাদমাধ্যমের উপর এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করল শেহবাজ শরিফের সরকার।
আর এই নির্দেশিকা সামনে আসতেই পাকিস্তান জুড়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। তবে কি ইমরানকে পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন করতে চাইছে বর্তমান শাসক দলের জোট? গ্রেফতারির আগে একটু একটু করে কোনঠাসা করা হচ্ছে তাকে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, শেহবাজ-বিলওয়ালরা ভেবেছিলেন, ক্ষমতা হারালেই জনপ্রিয়তা হারাবেন ইমরান খান। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে তার উল্টো চিত্র। যা আর্থিক সংকটের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া শেহবাজ সরকারের উপর জনগণের আস্থাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
শনিবার ইসলামাবাদে একটি জনসভায় ভাষণ দেন ইমরান। সেখানে চাঁচাছোলা ভাষায় পাকিস্তান সরকারের একাধিক প্রতিষ্ঠানকে নিশানা করেন তিনি। এর মধ্যে ছিল নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও একজন মহিলা বিচারপতি এবং পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান তিনি। তোলেন সহযোদ্ধা শাহবাজ গিলের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। সাধারণত, ইমরান কোনও বড় জনসভা করলে তা সরাসরি সম্প্রচার করে পাকিস্তানের মিডিয়া। শনিবার তার বক্তৃতা শেষ হতে না হতেই এই নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পিইএমআরএ (Pakistan Electronic Media Regulatory Authority বা PEMRA)। সেখানে বলা হয়েছে, পিটিআই’র চেয়ারম্যানের কোনও বক্তৃতার সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
আর্থিক প্রতারণা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে শুক্রবার ইমরান খানকে দ্বিতীয়বার নোটিস দেয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই খবর সামনে আসতেই শুরু হয়ে যায় তার গ্রেফতারি নিয়ে জল্পনা। একদিনের ব্যবধানে এবার ইমরান খানের ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করল প্রশাসন। এতে অবশ্য দমে যাচ্ছেন না পিটিআই’র চেয়ারম্যান। ‘বর্তমানে পাকিস্তানে আমেরিকা থেকে আমদানি করা সরকার চলেছ। যাদের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই।’ শনিবার ফের বলেছেন ইমরান খান। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।