নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স বরাবরই নাজুক। গত বছর ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ভরাডুবি ঘটে তাদের। সাম্প্রতিক সময়েও ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর জিম্বাবুয়ে সফরে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। আর তাতেই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। যেখানে বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর ফিলোসফি বা দর্শন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের দৃষ্টিতে, টাইগাররা যে ব্র্যান্ড অব ক্রিকেট অর্থাৎ যে ঘরানার ক্রিকেট খেলতে চায়, সেটার সঙ্গে মিলছে না ডমিঙ্গোর চিন্তা-চেতনা। এই দ্বিধা-বিভক্তির বিষয়টি মাথায় রেখে টি-টোয়েন্টিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের আশায় টেকনিক্যাল পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শ্রীধরন শ্রীরামকে।
দুঃসময় দূরে ঠেলতে নতুন চিন্তাভাবনা ও মানসিকতা নিয়ে এগোতে চান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। সেটারই গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে কোচিং প্যানেলে যুক্ত করা হয়েছে ভারতীয় শ্রীরামকে। আজ বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবেন তিনি। যদিও তার পদের নাম টেকনিক্যাল পরামর্শক, তবে আসন্ন এশিয়া কাপে তার অধীনেই খেলতে পারে বাংলাদেশ দল। দক্ষিণ আফ্রিকান প্রধান কোচ ডমিঙ্গো সংযুক্ত আরব আমিরাতে না-ও যেতে পারেন দলের সঙ্গে। আগামী সোমবার আসবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তির মধ্যে আছেন ডমিঙ্গো। তার আগে গতকাল মিরপুরে গণমাধ্যমের কাছে বোর্ড পরিচালক সুজন যা বলেছেন, তাতে চাপের উত্তাপ আরও বেশি করে টের পেতে পারেন তিনি, ‘দেখেন, প্রত্যেকটা মানুষেরই আলাদা আলাদা ফিলোসফি থাকে। আমার ফিলোসফি বা আপনার ফিলোসফি সবই আলাদা। প্রত্যেক কোচের ফিলোসফি আলাদা। ওর (ডমিঙ্গো) ফিলসোফি যেটা, সেটা হয়তো আমাদের ব্র্যান্ড অব ক্রিকেটের সঙ্গে মানাচ্ছে না। সত্যি কথা বলতে, এটা তো আর কথায় হবে না। আমরা পারফরম্যান্স করতে পারছি না টি-টোয়েন্টিতে।’
ডমিঙ্গোর দর্শনে অতৃপ্ত বিসিবি এবার পরখ করে দেখতে চায় নতুন কিছু, ‘একটা আলাদা ফিলোসফি আসলে অসুবিধাটা কী! সেটা যদি দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হয়, তাহলে সেটা আমাদের অবশ্যই নিতে হবে। সেটা থেকে বের হয়ে আসার চিন্তা এশিয়া কাপে আমরা করছি। দেখা যাক, সেটা কী হয়। কতটুকু কাজ করে। আমার মনে হয়, এই সংস্করণে আমরা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারি। যেটা আমরা ওয়ানডেতে করতে পারি না।’
২০০০ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে ভারত জাতীয় দলের হয়ে ৮টি ওয়ানডে খেলেন শ্রীরাম। ঘরোয়া পর্যায়ে রানের বন্যা বইয়ে দিলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সফল হননি তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর তিনি মনোযোগী হন কোচিংয়ে। সেখানে অবশ্য ৪৬ বছর বয়সী শ্রীরামের অর্জনের ঝুলি বেশ ভারী। অস্ট্রেলিয়া দলে স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। সবশেষ তিনি ছিলেন আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং ও স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্বে।
১৬ বছর ধরে টি-টোয়েন্টি খেললেও এই সংস্করণ এখনও যেন বুঝে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ! তবে সুজন আশাবাদী, শ্রীরামের ছোঁয়ায় আসবে ভালো ফল, ‘শ্রীরাম যখন আসবে, যেহেতু সে টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে অনেক বেশি কাজ করে, ওর কিছু ইনপুটস (সংযোজন) তো থাকবেই। ও যেহেতু এশিয়ারই, আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিল আছে। কথা-বার্তা বা যোগাযোগ করতেও সহজ হবে। ও আসার পর অবশ্যই একটা পরিবর্তন আমরা পাব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।