মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র ধ্বংসের বিনিময়ে অর্থনৈতিক সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এমন প্রস্তাবকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির প্রধান কিম জং উন-এর বোন কিম ইয়ো জং বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যে আমাদের সাথে সম্পর্কের উন্নতি করতে চায় বলছে, তা লোকদেখানো। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক মহড়া করছে আবার উল্টো দিকে আমাদের সাথে সম্পর্ক উন্নতির কথা বলছে। বিবিসির খবরে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান কিম জং উনের পরই দেশের সবথেকে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হলেন তার বোন কিম ইয়ো জং। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাকে আরও বেশি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে কথা বলতে দেখা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কেকের বিনিময়ে তারা তাদের পরিণতি ঠেকাতে পারবে না। এর আগে বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়ুল বলেন, উত্তর কোরিয়া যদি পরমাণু কার্যক্রম ত্যাগ করে তাহলে তাদেরকে অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়া হবে। এর জবাবে কিম তাকে শিশুসুলভ আখ্যা দিয়ে বলেন, আপনি আপনার মুখ বন্ধ রাখুন। উত্তর কোরিয়ার জবাব পাওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে বলা হয়, কিম ইয়ো জং-এর এমন জবাব শুনে তারা আহত হয়েছেন। কিন্তু দেশটিকে দেয়া প্রস্তাব গ্রহণের সুযোগ এখনও আছে। উত্তর কোরিয়া যে আচরণ করছে তাতে এই উপদ্বীপে শান্তি এবং উন্নতি নিশ্চিত করা কঠিন হবে। মূলত গত মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন. সিউল বিশ্বের অন্য দেশগুলির সাথে হাত মিলিয়ে একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে চায়। এর ফলে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি ভালো হবে ও মানুষের জীবনধারণের মান বাড়বে। গত বুধবার ক্ষমতায় ১০০ দিন পূর্ণ হয় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের। এ উপলক্ষ্যে তিনি বলেন. তিনি উত্তর কোরিয়াকে অর্থনৈতিক সাহায্য করতে চান। তবে পিয়ংইয়ংকে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করতে হবে। তাদের কাছে থাকা অস্ত্র নষ্ট করে দিতে হবে। কিন্তু কিম ইয়ো জং বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কথা শুনে মনে হচ্ছে, তিনি সহজসরল, প্রায় বাচ্চাদের মতো কথা বলছেন। পরমাণু কর্মসূচি আমাদের গর্বের বিষয়, আমাদের আশা ও ভরসা। কিম ইয়ো জং বলেছেন, তিনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, আমরা তার সাথে মুখোমুখি আলোচনায় বসব না। সম্প্রতি করোনা নিয়েও উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। উত্তরের অভিযোগ, দক্ষিণ থেকে আসা বেলুন থেকেই করোনা ছড়িয়েছে। উত্তর কোরিয়া এ বছরের শুরু থেকেই তাদের অস্ত্র পরীক্ষার গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। ৫ বছর ব্যবধানে আইসিবিএম পরীক্ষা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরই তাদের সপ্তম পরমাণু পরীক্ষা চালাবে দেশটি। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।