Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নোটিশের একবছরেও কুমিল্লা নগরীর বহুতল ভবনের বেইজমেন্ট পার্কিংশূন্য

| প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লা নগরীর ২৪টি বহুতল ভবনের মালিক নোটিশ প্রাপ্তির প্রায় এক বছরের মধ্যেও বেইজমেন্টে পার্কিং ব্যবস্থা চালু করেননি। কুমিল্লা সিটি মেয়রের পাঠানো নোটিশের ব্যাপারে ওইসব ভবন মালিকদের কোনো সাড়াশব্দ মেলেনি। বরং বেইজমেন্টে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের আরও প্রসার ও চাকচিক্য বেড়েছে। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ বেইজমেন্ট থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অপসারণে হার্ডলাইনে যেতে পারছেন না। নোটিশপ্রাপ্ত ২৪ ভবন মালিক কুসিক মেয়রের কাছে ছয় মাসের সময়ের আবেদন করে প্রায় এক বছর পার করেছেন। কিন্তু এসময়ের মধ্যে ভবন মালিকরা বেইজমেন্টে পার্কিং ব্যবস্থা চালুর কোনো উদ্যোগ নেননি।     
কুমিল্লা নগরীতে বহুতল ভবন নির্মাণের নীতিমালা লঙ্ঘন করে বেইজমেন্টে গাড়ী পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে অন্য প্রতিষ্ঠান ভাড়া দেয়ার প্রবণতা বেড়েই চলছে। বহুতল ভবন নিমার্ণের আগে নকশায় দেখানো হয়েছিল, বেইজমেন্ট গাড়ী পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হবে। নকশা অনুমোদন পেয়ে বহুভবন নিমার্ণের পর বেইজমেন্টের খালি জায়গায় পার্কিং ব্যবস্থা না রেখে মোটা অংকের জামানত নিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ভাড়া দিয়েছেন ভবন মালিকরা। বেইজমেন্ট ঘিরে গাড়ী পার্কিংয়ের বদলে জমজমাট হয়ে উঠেছে হোটেল, রেস্তোরা, ফ্স্টাফুড, সেলুন, মোবাইল ফোন, ওষুধ, পণ্যের শো-রুম গিফটসপ, হাসপাতালসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু স্বাক্ষরিত নোটিশ নগর ভবনের সার্ভেয়ার শাখার লোকজন নগরীর বহুতল ভবনের ২৫ মালিকের কাছে পৌঁছে দেন। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) এলাকায় নির্মিত বহুতল বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের বেইজমেন্টের পার্কিংস্থল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেয়ায় এবং কেউ কেউ পার্কিং চালু না করার প্রেক্ষিতে ২৫ ভবন মালিককে নোটিশ করেন কুসিক মেয়র মো: মনিরুল হক সাক্কু। নোটিশ প্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে বেইজমেন্টের পার্কিংস্থল থেকে ভাড়া দেয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অপসারণসহ যেসব বেইজমেন্টে পার্কিং চালু করা হয়নি তাতে ওই সময়ের মধ্যে তা চালুর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়া হয়। নোটিশপ্রাপ্তদের মধ্যে কেবল নগরীর নজরুল এভিনিউ এলাকায় অবস্থিত আড়ং শো-রুমের একটি অংশ থেকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সরিয়ে সেখানে পার্কিং ব্যবস্থা চালু করে। তবে নকশায় আড়ং ভবনের নিচতলার পুরোটাই পার্কিং উল্লেখ রয়েছে। বাকি ২৪ ভবন মালিক প্রায় এক বছর ধরে সিটি মেয়রের নোটিশের তোয়াক্কা করছেন না। এসব ভবন মালিকরা নোটিশ পাওয়ার পর মেয়রের কাছে আবেদন করে ছয় মাসের সময় নিয়েছিলেন। ওই ছয় মাসের পর আরও ছয় মাস পার হচ্ছে কিন্তু বেইজমেন্টে গাড়ী ওঠানামা করে না।
পার্কিয়ের জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাড়া দিয়েছেন এমন ভবনগুলো হচ্ছে- মনোহরপুরে সাইবা ট্রেড সেন্টার, বাদুরতলায় কাশ্মিরী হোটেল, নিউ মার্কেট সংলগ্ন এসবি প্লাজা, কান্দিরপাড় মনোহরপুরে ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ার, ঝাউতলায় কিং ফিশার হোটেল, কান্দিরপাড় বিবি সমতট মার্কেট, ঝাউতলায় সামস্যাং মোবাইল ফোন শোরুম ভবন, ঝাউতলায় চিশতিয়া গাউসিয়া ভবন, রানীর বাজারে অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামের ওষুধ দোকান ও আরএফএল শো-রুম ভবন, রাজগঞ্জে মক্কা টাওয়ার, সদর দক্ষিণে ইউনাইটেড হাসপাতাল ভবন, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে জাপান কমপ্লেক্স, রেইসকোর্সে আখন্দ জেনারেল হাসপাতাল ভবন, রেইসকোর্সে আজাদ জেনারেল হাসপাতাল ভবন, শাসনগাছা রেইসকোর্সে কমফোর্ট হাসপাতাল ভবন, শাসনগাছা রেইসকোর্সে তৈয়ব আলীর ভবন, শাসনগাছা রেইসকোর্সে আবুল হাসেমের ভবন, শাসনগাছা রেইসকোর্সে কাজী হাবিবুর রহমানের ডেন্টাল হাসপাতাল ভবন, মোগলটুলিতে তানভীর আনোয়ারের আবাসিক ভবন, গাংচর থানা রোডে আমিনুল ইসলামের ভবন, গাংচরে হাবিবুর রহমানের ভবন, রাজগঞ্জ পানপট্টি রোডে আক্তার হোসেনের ভবন, গাংচরে মোসাম্মৎ মেহেরুন্নেছার ভবন, মোগলটুলি শাহসুজা মসজিদ রোডে ফেরদৌসি আক্তারের ভবন, রাজগঞ্জে মারুফ স্টিল ভবন ও ছোটরা আদালত রোডে ইসলাম সিদ্দিকীর ভবন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ