পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে বক্তব্য দেওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার, তা করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। এমন বক্তব্যে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে এখন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একের পর এক বেফাঁস মন্তব্যে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে সরকার। তার অতিকথনে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগও। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। না হলে এসব কথায় মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে।
তারা আরও বলেন, একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য দেওয়ার এখতিয়ার নেই। এসব কথা বলে শুধু সরকার নয়, জনগণকেও বিব্রত করেছেন তিনি। তাদের মতে, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সরকার টিকিয়ে রাখে জনগণ। এতে অন্য কোনো দেশের কিছু করার সুযোগ নেই। তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য লজ্জাজনক। কথা বলার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আরও সতর্ক থাকা উচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। যিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এ কথা বলেছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। সেটা আমাদের সরকারের বক্তব্য না, দলেরও না।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ভারত আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। ’৭১-এ রক্তের বন্ধনে আমরা আবদ্ধ। তাই বলে আমরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ করব—এ ধরনের কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আমাদের সমর্থন, ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ।
যিনি এ কথা বলেছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটা আমি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই। এতে ভারতও লজ্জা পায়। কীভাবে আমরা এ কথা বলি? বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটা ভালো আছে। অহেতুক কথা বলে এটা (বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক) নষ্ট করবেন না।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেফাঁস মন্তব্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, তার দেশের সরকার টিকিয়ে রাখছে অন্য দেশের সরকার। এতে তারা (জনগণ) মনে করতে পারে তাদের ভোটের দাম নেই। তার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এই বক্তব্য ঠিক হয়নি।
সাধারণ জনগণ বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে আরও দায়িত্বশীল কথা বলা উচিত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। তারা বলছেন, আমাদের দেশ কারা চালাচ্ছে.? একটি দেশ ধ্বংস হওয়ার জন্য জঘন্য রাজা, ঘুমন্ত প্রজা এবং বিক্রিত মন্ত্রীরাই যথেষ্ট!
শামীম মল্লিক নামে একজন লিখেছেন, রাষ্ট্রবিরোধী এবং দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতকতার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। কেনো ভারতের সহায়তা চেয়েছে জানার জন্য, প্রয়োজনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মতিউর রহমান নামে আরেকজন লিখেছেন, একটি স্বাধীন দেশের মন্ত্রীর বক্তব্য এমন হতে পারে! স্বাধীন দেশের স্বাধীন জনগণের প্রতি আস্থা বা বিশ্বাস নেই। মুজিবের আদর্শের ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছে এরা দেশদ্রোহী ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।