মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব আলেপ্পোর অধিবাসীরা সমূলে বিনাশের পথে রয়েছে জানিয়ে শীতকালীন আবহাওয়া শুরু হওয়ার আগেই তাদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আহ্বান জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা-বিষয়ক প্রধান স্টিফেন ও’ব্রায়ান। সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পো রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সেটা বিশাল গোরস্থানে পরিণত হবে বলে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেন তিনি। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এই আশঙ্কার কথা জানান তিনি। স্টিফেন ও’ব্রায়ান সিরিয়ায় জাতিসংঘ নিযুক্ত মানবিক সহায়তা প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। এদিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, পূর্ব আলেপ্পোকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পূর্ব-আলেপ্পোয় চলমান সহিংসতা নিয়ে বুধবারের ওই বৈঠকে স্টিফেন ও’ব্রায়ান সেখানকার মানবিক পরিস্থিতিকে চরম বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করেন। এ সময় বেসামরিকদের ওপর হামলা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। স্টিফেন বলেন, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ ও আলেপ্পোয় যাদের প্রভাব রয়েছে, সবার প্রতি আহ্বানÑ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হলেও আলেপ্পোবাসীদের রক্ষা করুন। পরিস্থিতির উন্নয়নে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে শিগগিরই শহরটি বড় এক গণকবরে পরিণত হবে। তিনি জানান, পূর্ব আলেপ্পোয় অবরুদ্ধ বেসামরিক লোকদের জন্য ত্রাণের বহর তুরস্ক ও পশ্চিম আলেপ্পোতে অপেক্ষা করছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি সামান্থা পাওয়ার আলেপ্পোর মানবিক বিপর্যয় আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে বেসামরিক লোকদের হতাহতের জন্য আবারও সরকারি ও রুশবাহিনীর হামলাকে দায়ী করেন। তবে, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ করলেই মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ প্রতিনিধি ভিতালি চুরকিন।
এদিকে ওই বৈঠকের দিনই বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর সরকারি বাহিনীর অভিযান থেকে বাঁচার উদ্দেশে পালানোর সময় ৭ শিশুসহ অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে শুধুমাত্র বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স। এছাড়া ওই হামলায় ৫০ জনের বেশি আহতও হয়েছে বলে জানান তারা। সংস্থাটি জানায়, হামলায় হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু ছিল। উল্লেখ্য, সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে প্রায় চার লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর গৃহহারা হয়েছেন ১০ লাখের বেশি। বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।