Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নয় মাস পর টাঙ্গাইলের শিক্ষক দম্পতি খুনের রহস্য উদঘাটন

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৮, ৬:০৯ পিএম

প্রায় ৯ মাস পর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানী দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করছে পুলিশ। সৎ ভাইয়ের জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে পুলিশের দাবি। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ৬ জন জড়িত বলে পুলিশ জানায়। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।
এসময় তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের দিন রাতে প্রথমে অনিল কুমার দাসকে তারা বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে স্ত্রী কল্পনা রানী দাস ঘটনাটি দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরা লাশের গলায় ইটের বস্তা বেঁধে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের অব্দুস সালামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩২), মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. ফরহাদ (৪৮), রসুলপুরের মৃত আমির হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া (৩৩) এবং রসুলপুর শালিনাপাড়ার বাহাজ উদ্দিনের ছেলে মনজুরুল ইসলাম মিনজু (৩৩)। এদের মধ্যে জাহিদুল ও ফরহাদ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে কি না তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই রাতের কোনো এক সময় অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানী দাসকে দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ুহত্যার পর তাদের গলায় ইটের বস্তা বেঁধে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রেখে যায়। পরদিন দুপুরে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে। পরে ২৭ জুলাই নিহতের ছেলে নির্মল কুমার দাস বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষক দম্পতি খুন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ