নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আপাতত টাইগারদের জন্য পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে বাংলাদে ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সই নিজেকে পাওয়ার হিটিংয়ে বিশেষজ্ঞ বলছেন। তিনি বিসিবিকে জানিয়েছেন, ব্যাটসম্যানদের ছক্কা মারার সমস্যাটা তিনিই দূর করতে চান।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে এক জরুরী সভা শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
জরুরী সভা নিয়ে পাপন বলেন,‘যেহেতু এশিয়া কাপে দল যাচ্ছে। যাওয়ার আগে জেমি ইতোমধ্যেই চলে এসেছে, ওর সঙ্গে বসেছিলাম। শোনলাম এখানে প্র্যাক্টিস হচ্ছে, কয়েকজন করছে। কী করছে, না করছে, পাওয়ার হিটিংয়ের ওপর কাজ করছে, এসব নিয়ে আলাপ হয়েছে। আমরা চিন্তা করছিলাম পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য বাইরে থেকে বিশেষ কাউকে নিয়ে আসবো।’
টি-টোয়েন্টিতে মূল সমস্যা নিয়ে জানতে চাইলে পাপন বলেন,‘ মূল সমস্যা আমরা যেটা দেখি টি-টোয়েন্টিতে- প্লেয়ার ঠিক আছে, প্লেয়ার যে আমাদের নাই তা না। সমস্যাটা হচ্ছে মাইন্ড সেট চেঞ্জ করতে হবে। মাইন্ড সেটে পুরো বদল আনতে হবে। টি-টোয়েন্টি এপ্রোচটা আলাদা থাকতে হবে যদি আমরা জিততে চাই বা ভালো করতে চাই।’
টি-টোয়েন্টিতে পাওয়া হিটিং ব্যটসম্যানের গুরুত্ব নিয়ে বোর্ড প্রধান বলেন,‘এখানে পাওয়ার হিটিংয়ের কোনো বিকল্প নাই। ১৩০-৪০ করে হয়তো একটা জিতে যাবো একদিন, কিন্তু এটা আমাদের হতে পারে না। আমাদের ১৮০-৯০, ২০০ করতে হবে। এটা মাথায় রেখেই আমাদের খেলতে হবে। আমাদের যে প্ল্যান এখন চলছে এমন কোনো লক্ষণ দেখছি না। খেলার মধ্যেও দেখি না। সেজন্য কী করা যায় এটা নিয়ে আলাপ করছিলাম। তখন জেমি এসে বলল ও নাকি এটাতে খুব আগ্রহী।’
এছাড়া পাপন বলেন,‘ আমাদের টি-টোয়েন্টির মানসিকতা সম্পূর্ণ বদলাতে হবে। এখানে পাওয়ারহিটিংয়ের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এখানে ১৩০-১৪০ করে ম্যাচ জেতা কঠিন। ১৮০-২০০ করতে হবে। এটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে। এখন যে অবস্থায় আছে সেখানে এমন কোনো লক্ষন দেখছি না। সে জন্য এটাকে পরিবর্তন করা দরকার। কি করা যায় এ নিয়ে সেটা নিয়েই আলোচনা করছিলাম। তখন জেমি এসে বলল যে সে নাকি এটাতে (পাওয়ারহিটিংয়ে) খুবই আগ্রহী।
পাপন আরও বলেন, ‘যে পরিমান খেলা, নন স্টপ। দম ফেলার সময় নেই। এর মধ্যে যে ছেলেদের উন্নতি করা দরকার, সেটা করবে কে? এটা নিয়ে আলাপ করেছি। চোট নিয়ে আলাপ করেছি। এত চোট হচ্ছে কেন। প্রতি সিরিজেই এত ক্রিকেটার চোটে পড়ছে, এটার জন্য কি করা যায়। ঠিক মত পরিকল্পনা করে কিভাবে এসবের সমাধান করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
কোচ জেমির বিষয়ে তিনি বলেন, কদিন আগে জিমি আমার বাসায় এসেছিল। কিছু বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলান। যদি আমরা জিততে চাই বা ভালো করতে চাই টি-টোয়েন্টির ভাবনাটা পরিবর্তন করতে হবে। এটার কোনো বিকল্প নেই। ১৩০ করে হয়ত একটা ম্যাচ জিততে পারবেন। এটা তো হতে পারে না। আমাদের ১৮০-২০০ করতে হবে। এটা মাথায় রাখতে হবে। এখন আমাদের যে পরিকল্পনা ওইটা করার কোনো লক্ষণই দেখছি না। এটাকে নতুন করে কী করা যায় এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
কবে নাগাদ পাওয়ার হিটিং কোচ পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,‘ আমরা একটা পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তো তখন জিমি বলল ওর ন ‘কি এটাতে বিশেষত্ব আছে। আমরা দেখছি এই এশিয়া কাপটা না আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে পরবর্তী বিশ্বকাপ। কারণ, ওইটা আরও চ্যালেঞ্জিং। কারণ, ওইটা অস্ট্রেলিয়ায়। ওইসব জায়গায় তো আমরা এমনে স্ট্রাগল করি। সেটরা কথা মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। এই এশিয়া কাপে আমরা কিছু জিনিস পরিবর্তন করে দেখতে চাচ্ছি যে সব ঠিক আছে কি না। ওঁটার জন্য তো আর বেশি সময় নেই। হঠ্য করে যে একজন কোচ এনে সব উন্নতি করে ফেলব এটা ভাবা ঠিক হবে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।