গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানী জুড়ে গতকাল ছিল তীব্র যানজট। এতে রাজধানীবাসীকে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জনসভার কারণে যানজট আরও দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। সকালে অফিসগামী যাত্রিরা এবং স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা কিছুটা সহনীয় মাত্রার যানজটের কবলে পড়লেও বিকেলে এটা অসহনীয় ও দুর্বিষহ রূপ লাভ করে।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপি সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ। রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে চলে এ সমাবেশ। এতে ওই সড়কের দুই দিকের যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
দুপুর থেকে শাহবাগ মোড় থেকে মৎস্য ভবন মোড়ে যাওয়া-আসার দুটি সড়কই বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে করে যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হয়। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। রাজধানীর ধানমন্ডি, গাবতলী, ফার্মগেট, পল্টন, মতিঝিল, মুগদা, মিরপুর, উত্তরা, শাহবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট ও গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
শাহবাগ মোড়ে মৎস্য ভবন যাওয়ার রাস্তা ব্যারিকেট দিয়ে রাখায় সাইন্সল্যাব ও ফার্মগেট থেকে আসা যানবাহনগুলো আটকে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। তবে কিছুসংখ্যক বাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি শিক্ষা ভবন হয়ে খুব ধীর গতিতে চলাচল করে। রাস্তাগুলো বন্ধ থাকায় বাস থেকে নেমে অনেককেই হেঁটে গন্তব্য স্থলে যান।
রাস্তা বন্ধ রাখায় যানবাহন চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ছুটির দিনে সমাবেশ করলে মানুষের এত ভোগান্তি হতো না। আগামী ৩-৪ দিন ছুটি রয়েছে অনেকেই বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছেন। রাস্তা বন্ধ থাকায় অনেকে বিকল্প রাস্তায় কষ্ট করে যেতে হচ্ছে। কর্মব্যস্ত দিনে রাস্তা বন্ধ করে কেন সমাবেশ করতে হবে। এমনিতেই এই শহর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে জ্যামের কারণে দীর্ঘ সময় লাগে। তার উপর ক্ষমতাসীন দলের এমন সমাবেশ রাজধানীবাসীকে সীমহিীন দুর্ভোগে ফেলে দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।