Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় ক্লাস আরো বাড়াচ্ছে তালেবান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০২২, ১১:২৪ পিএম

মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুনরায় চালুর ইঙ্গিত দিয়ে মঙ্গলবার আফগানিস্তানের শিক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আরো বাধ্যতামূলক ইসলামী শিক্ষা ক্লাসে যোগ দিতে হবে। এক বছর আগে ক্ষমতায় ফিরে আসা কট্টর ইসলামপন্থী তালেবান আন্দোলনের অনেক রক্ষণশীল আফগান আলেম মেয়েদের আধুনিক শিক্ষা নিয়ে সন্দিহান।

উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি বলেন, আমরা বিদ্যমান আটটি বিষয়ের সাথে আরো পাঁচটি ধর্মীয় বিষয় যুক্ত করছি। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামের ইতিহাস, রাজনীতি ও শাসন প্রক্রিয়া। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক ধর্মীয় ক্লাসের সংখ্যা সপ্তাহে এক থেকে তিন পর্যন্ত বাড়বে।

তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমান স্কুল পাঠ্যক্রম থেকে কোনো বিষয় বাদ দেওয়ার নির্দেশ তালেবান দেবে না।

তবে, তালেবানের শরিয়া আইনের কঠোর ব্যাখ্যার অধীনে অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয় হিসেবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সঙ্গীত এবং ভাস্কর্যের অধ্যয়ন পরিবর্তন করেছে।
কর্মকর্তারা কয়েক মাস ধরে মেয়েদের স্কুল পুনরায় খোলার জন্য জোর দিয়ে আসছেন। ধারাবাহিক বন্ধের কারণ হিসাবে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সমস্যার মধ্যে দোলাচল চিহ্নিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুল খালিক সাদিক বলেন, গ্রামীণ এলাকার পরিবারগুলো এখনও মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আশ্বস্ত নয়।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে শেষ তালেবান শাসনের অধীনে মেয়েদের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো পুনরায় খোলা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নেতাদের সাথে সমন্বয় করে একটি সঠিক নীতি নিয়ে আসার চেষ্টা করছি... যাতে গ্রামীণ এলাকার মানুষ আশ্বস্ত হয় ।

গত বছরের ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলের পর থেকে তালেবানরা মেয়েদের এবং মহিলাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইসলামের কট্টরপন্থী সংস্করণ মেনে চলার জন্য।

অল্পবয়সী মেয়েদের এখন বিদ্যালয়ে পড়ার অনুমতি দেওয়া হলেও অনেকেই খরচের কারণে বা তালেবান শাসিত আফগানিস্তানে তাদের পরিবার জনসমক্ষে যেতে দিতে ভয় পায় বলে বাদ স্কুলে মেয়েদের পাঠাচ্ছে না। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ছাড়া কিশোরী মেয়েরা ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শিক্ষার অধিকারকে তালেবান সরকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পূর্বশর্ত বানিয়েছে। এক বছর ক্ষমতায় থাকার পরও এখনো কোনো দেশের স্বীকৃতি পায়নি তালেবান সরকার। সূত্র : আরব নিউজ।



 

Show all comments
  • jack ali ১৮ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৪ পিএম says : 0
    যারা কুরআন এবং সুন্নাহ মোতাবেক দেশ চালায় তাদেরকে যারা সত্য বলে কট্টর হলে গালি দেয় তারা কখনোই মুসলিম হতে পারে না তারা যেন বিশাল আসসালাম আল্লাহর কোরআন দিয়ে দেশ চালাবেন না আল্লাহর নবী সালাম কে বলছেন যে তোমরা গণতন্ত্র দিয়ে দেশ চালাও সেখানে যিনা-ব্যভিচার হবে মদ খাওয়া হবে গান-বাজনা হবে সিনেমা হবে সমকামিতা হবে ঘুষ খাওয়া হবে ধর্ষণ করা হবে দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে চালান করা হবে
    Total Reply(0) Reply
  • মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ১৮ আগস্ট, ২০২২, ১২:১২ পিএম says : 0
    ইসলামী শিক্ষা মুসলিম জাতির মেরুদণ্ড। ইসলামী শিক্ষার মাধ্যেমই মুসলিম জাতি টিকে থাকতে পারে। শত-সহস্র ধন্যবাদ তালেবান সরকারকে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ