মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত ২৯ জুলাই থেকে ধারাবাহিকভাবে মূল্যবান হতে থাকা পাকিস্তানি রুপি বুধবার ডলারের বিপরীতে ফের ৯৮ পয়সা দর হারিয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের (এসবিপি) শেয়ার করা ডেটা দেখায় যে, দিনের শেষে প্রতি ডলার ২১৪.৮৮ রুপিতে তথা ০.৪৬ শতাংশ অবমূল্যায়িত অবস্থায় ক্লোজ হয়েছে। ট্রেসমার্কের স্ট্র্যাটেজির প্রধান কোমল মনসুর বলেন, প্রত্যাশিতের চেয়ে কম রেমিটেন্সের কারণে এদিন রুপি দর হারিয়েছে।
তিনি যোগ করেছেন, বেশিরভাগ বিশ্লেষক এখনও বিশ্বাস করেন যে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে কিস্তি প্রকাশের অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত রুপি ২১৫ স্তরের কাছাকাছি দোলাচল থাকবে।
মঙ্গলবার এসবিপি প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, জুলাই মাসে রেমিটেন্সের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা বিপরীত হয়েছে যখন আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় ৭.৮ শতাংশ হ্রাস রেকর্ড করা হয়।
এসবিপি রিপোর্ট করেছে যে, জুলাই-২২ অর্থবছরের ২.৭৩৬ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় জুলাই-২৩ অর্থবছরে দেশ ২.৫২৩ বিলিয়ন পেয়েছে। দেশটি আগের অর্থবছরে ৩১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা একটি রেকর্ড সর্বোচ্চ। এসবিপির তথ্যে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্য বাদে প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য থেকে রেমিট্যান্স কমেছে।
এদিকে, এফএপির চেয়ারপারসন মালিক বোস্তান বলেছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো উচ্চ হারে গ্রিনব্যাক কেনার কারণে রুপির পতন হয়েছে। খোলা বাজারে ব্যবসায়িক কার্যকলাপে নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে তিনি এসবিপিকে উচ্চ হারে ডলার ক্রয়কারী ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি দাবি করেন যে, রফতানিকারকরা একটি লবির মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছেন যাতে তারা বর্তমান স্তরে বিনিময় হার নির্ধারণ করে যাতে তারা ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।
তিনি মন্তব্য করেন, ‘প্রতিবারই রুপির মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রফতানিকারকরা সরকারকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য লোকসানের জন্য বিলাপ শুরু করে। সরকার যদি তাদের চাপে নতি স্বীকার করে, তাহলে ডলারের আরো পতন বন্ধ হয়ে যাবে’।
ডলারের বিপরীতে দুই সপ্তাহের টানাপোড়েনের পর, ২৮ জুলাই গ্রিনব্যাকের বিপরীতে রুপি তার সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছিল, যা ২৩৯.৯৪ রুপিতে বন্ধ হয়েছিল। তবে, এ প্রবণতাটি উল্টে গেছে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত স্থানীয় মুদ্রা ২৬.০৪ রুপি বা ১০.৮ শতাংশ বেড়েছে। ৩ আগস্ট সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল, যখন রুপির রেকর্ড ৯.৫৯ টাকা বেড়েছে। সূথ্র : ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।