গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্থানীয় উৎপাদন বিকশিত করার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক সিএমএসএমই খাতের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার মেয়াদি ঋণের বিপরীতে ঘোষিত পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের জন্য নতুন ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ঘোষণা করেছে।
এ স্কিমের ৭৫ শতাংশ যাবে কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাঝে এবং ২৫ শতাংশ মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) আয়োজিত ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কিং কমিটির (এফএসডিডব্লিউসি) দশম বৈঠকে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাসের। বৈঠকটির কো-চেয়ার করেন তিনি এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান।
আবু ফারাহ মো. নাসের আরও বলেন, ঋণের সুদহারের সীমা এখনই তুলে দিলে ঋণগ্রস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আরও বেশি চাপে পড়ে যেতে পারেন। এটি তাদের উৎপাদন ব্যয় আরও বাড়াবে।
ডিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের সব ধরনের নীতিগত পরিবর্তন বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। এক্ষেত্রে উইমেন চেম্বারগুলোকে তাদের সদস্যদের সব ধরনের বিদ্যমান রেগুলেটরি সুবিধা সম্পর্কে জানানোর দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে এখন কোল্যাটারাল-ভিত্তিক অর্থায়নের পরিবর্তে ক্যাশ-ফ্লো ভিত্তিক অর্থায়নে মনযোগী হতে হবে।
বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বেগম নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও ওভারসিস ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট বিধিমালা ২০২২-এর ওপর দুটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন। এতে চারটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের চারটি আর্থিক স্কিমের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও ফিনটেক ফার্মগুলোর সঙ্গে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথভাবে পরিচালিত বেশ কয়েকটি স্কিম ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত বিভিন্ন সিজিএস সুবিধাসহ যাবতীয় বিষয়াদি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোল্যাটারেলের জন্য যেহেতু সিএমএসএমইদের নিকট পর্যাপ্ত স্থায়ী সম্পদ নেই, সেহেতু তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কোল্যাটারাল/ইন্ডিভিজুয়াল কোল্যাটারাল/থার্ড পার্টি কোল্যাটারাল/ সোশ্যাল কোল্যাটারাল বিষয়ে যথাযথ সহায়তা ও সমর্থন করার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিএমএসএমই ঋণের শ্রেণিকরণের আওতায় ট্রেডিং এবং কিছু অপ্রচলিত খাত পরিলক্ষিত হয় যেখানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমুহ অর্থায়ন করতে পারে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের জিএম ফারজানা রহমান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক এরইমধ্যে ১৭৭টি ক্লাস্টার শনাক্ত করেছে এবং পরবর্তী শিল্পনীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে মিল রেখে একটি সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।