পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সভা-সমাবেশ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার অর্থ দলটির নেতারা বোঝেন না।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে কষ্ট লাগে আমাদের নেত্রী বলেছেন, বিএনপি সমাবেশ করুক, জনসভা করুক কোনো বাধা আমরা দেব না। নেত্রী আপনার এ উদারতার অর্থ আমরা বুঝি। তারা তো সেটা বোঝে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বলে, বিদেশিদের চাপে আপনি এটা করছেন। লন্ডন থেকে স্লোগান দেয় আর স্লোগানের প্রতিধ্বনি হয় পল্টনে। কী স্লোগান? টেক ব্যাক বাংলাদেশ। টেক ব্যাক করে কোথায় যাবে? লুটপাটের হাওয়া ভবনের বাংলাদেশ। পাঁচ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ বিসর্জনের বাংলাদেশ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংকটের বিস্তীর্ণ কাঁটাবন পেরিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখনো বাংলাদেশ স্ট্যাবিলিটি বজায় রেখেছে। এখনো বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখনও রেমিট্যান্স আছে হাজার হাজার কোটি টাকার। এখনো ৪০ থেকে ৪২ বিলিয়ন ডলার আমাদের রিজার্ভে। বললাম কেন? বাংলাদেশে এখন রিকশাওয়ালারাও রিজার্ভের কথা বলে। শ্রীলঙ্কার রিজার্ভ ফুরিয়ে গেছে। পাকিস্তানের রিজার্ভ তলানিতে। এ জন্য বাংলাদেশকে নিয়েও তারা দুঃস্বপ্ন দেখে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানুষের কান কথা শুনে, গুজব শুনে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাও হবে না, পাকিস্তানও হবে না। এটা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। এটা বীরের দেশ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই শুধু ঐক্যবদ্ধ থাকুন। দলটাকে সুশৃঙ্খল রাখুন। যেভাবে এগিয়ে চলছে আমরা যদি নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারি, আগামী নির্বাচনে আমরা আবারও বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারব। আওয়ামী লীগে সব আছে। এখানে ভালো মানুষের অভাব নেই। শুধু ঐক্যটা রাখলেই হবে। ঐক্যটা থাকলে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে। আওয়ামী লীগের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা সঞ্চালন করেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। এছাড়াও সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।