বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দোকান কর্মচারী বাবা শাজাহান তার মেয়ে শাম্মী আক্তারের শ্বশুর বাড়িতে সুখের জন্য বাড়ি বন্ধক রেখে দফায় দফায় জামাইকে ১৫ লাখ টাকায় দিয়েও শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারলেন না মেয়েকে।
অর্থলোভী পাষন্ড স্বামী টুটুলের নির্যাতনে মৃত্যু হলো তরুনী গৃহবধু শাম্মী আক্তারের। গত সোমবার বিকালে বগুড়া শহরের নামাজগড় এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মুকুল মিয়ার বাড়িতে স্বামী টুটুলের নির্যাতনে তরুনী গৃহবধু শাম্মী আক্তার নিহত হয়। পরে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পোস্টমর্টেম শেষে শাম্মী আক্তারের লাশ তার বাবার বাড়ি শহরের কাটনাড়পাড়া এলাকায় নিয়ে এলে সেখানে শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিকে শাম্মী আক্তারের শ্বশুর বাড়ি থেকে শাম্মী আক্তার আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী করা হচ্ছে।
শাম্মী আক্তারের মা মুন্নী বেগম জানান, তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, জামাই টুটুল গত কয়েক মাস ধরে তার মেয়ের উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। মেয়ের সুখের জন্য জামাইকে বাড়ি বন্ধক রেখে ও এনজিও’র কাছ থেকে ঋন নিয়ে কয়েক দফায় জামাইকে ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে আমরা তার কাছ থেকে মেয়ের লাশ পেলাম।
মেয়ের বাবা দোকান কর্মচারী শাজাহান এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার চাইলেন।
প্রতিবেশি শান্ত নামে এক নারী শাম্মী আক্তারের শরীরের পিছনের অংশে নির্যাতনের দাগ দেখেছেন বলে জানান।
প্রতিবেশি আরেক নারী জানালেন, মেয়ের সুখের জন্য শাম্মী আক্তারের বাবা মা জামাইকে নিজের সন্তান বিবেচনা করে প্রচুর টাকা দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিদানে তারা জামাইয়ের কাছ থেকে মেয়ের লাশ ফেরৎ পেলেন।
এই হত্যার ঘটনায় মেয়ের বাবা সামছুল হক শাজাহান বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।