Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশে আজ মুজিব আদর্শ প্রতিষ্ঠিত, এটিই সবচেয়ে বড় জয় : খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০২২, ৬:০৫ পিএম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, যারা বলেন-বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কোনো প্রতিবাদ হয়নি, তারা ভুল করছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পুরো বাংলাদেশ স্তব্দ হয়ে যায়- সেটিই প্রতিবাদ। প্রথম প্রতিবাদ হয় টুঙ্গিপাড়ায়। বুলেটের সামনে প্রতিবাদের মুখে বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ মর্যাদায় দাফন করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে বাংলাদেশে কাঁদতে দেয়নি, মুজিবের নাম উচ্চারণ করতে দেয়নি; সে বাংলাদেশে আজ মুজিব আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এটিই সবচেয়ে বড় জয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকান্ডকে জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ারা পারিবারিক হত্যাকান্ড বলেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের যে ঘটনা তারা উপস্থাপন করেছিল; দীর্ঘ ৪৭ বছরেও সেটি তারা প্রমাণ করতে পারেনি। সত্য ছাড়া তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ারা মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে অন্ধকারের পথে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রগতি ও আলোর পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে; অন্যদিকে জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা দেশকে উল্টোপথে- দুর্নীতি ও লুটেরার দিকে নিয়ে গেছে। দারিদ্র থেকে দেশকে আরো দারিদ্র বানিয়েছে। কিছু লোক দারিদ্রতাকে বিক্রি করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। জালিয়াতি দিয়ে কোন কিছু করা যায়না-তা প্রমাণিত।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএ'র মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস-২০২২ পালন উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণময় সময়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক অগ্রগতি করেছে। ২০০১ সালে নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে না হারালে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেতো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংকটে নাই। বিশ্ব সংকটে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বনেতা। বিশ্ব সংকটে শেখ হাসিনা এক সাহসী উচ্চারণ। শেখ হাসিনার জীবনে আর কি সংকট আছে? তিনি বাবা-মা, ভাইবোনসহ আপনজনদের হারিয়েছেন। তাঁর কষ্ট চেপে রেখে প্রতিঞ্জা করেছেন-বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হবে। আলোচনা সভায় একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক প্রধান আলোচক হিসেবে বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশাল এক প্রেক্ষাপট। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নাই। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকুক, আর নাই থাকুক তিনি বিশ্বনেতা, বাঙালির জাতির জনক।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রকিবুল ইসলাম তালুকদার এবং বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি মো. আবুল হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জাতির পিতাকে নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ'র সদস্য (প্রকৌশল) মতিউর রহমান কর্তৃক লেখা "কবিতায় বঙ্গবন্ধু" বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রতিমন্ত্রী পরে ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে অংশ নেন এবং নাবিক ও ঘাটকর্মীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী সকালে ঢাকা থেকে অনলাইনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালিদ মাহমুদ চৌধুরী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ