গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে ৩১ লাখ টাকা ছিনতাই করেছে তার দুই ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ছেলেসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার ডিএমপির ডিবি গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ছয় সন্তানের বাবা জয়নাল আবেদীন স্ত্রী হনুফা বেগমকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পশ্চিম মানিকদীতে থাকেন। তাদের তিন ছেলের হার্ডওয়ারের দোকান ও হোটেল ব্যবসা আছে। স্বচ্ছল হওয়ার পরও তারা বাবা-মাকে দেখাশোনা করেন না। উপরন্তু অত্যাচার করে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এরপর বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ছোট একটি বাসায় ভাড়া থাকতে শুরু করেন জয়নাল ও তার স্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, গত ২৮ জুন জয়নাল পৈতৃক সূত্রে পাওয়া দুই কাঠা জমি বিক্রি করে ৩১ লাখ টাকা পান। টাকার ভাগ নিয়ে মেজো ও ছোট ছেলে বাবার সঙ্গে আগেই বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তাদের সন্দেহ ছিল টাকার একটি বড় অংশ প্রতিবন্ধী ছোট বোনকে দেয়া হতে পারে। তাদের বাবা টাকা তুলে মেয়ের জামাইকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে দুই ভাইয়ের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বড় ভাই হানিফ কয়েকজনকে নিয়ে বাবার বাসার সামনে অবস্থান নেন। মোটরসাইকেলে বাসার সামনে আসলে হানিফ তাকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন। এতে তিনি মাটিতে পড়ে যান।
এরপর হানিফ পিটিয়ে তার গোড়ালি, হাঁটু, হাত রক্তাক্ত করেন। মাটিতে পড়ে যাওয়া শ্বশুরকে মেয়ের জামাই রক্ষা করতে আসলে তাকেও মেরে পা ভেঙে দেয়া হয়। বৃদ্ধ স্বামীকে বাঁচাতে হনুফা বেগম এগিয়ে আসলে হানিফ তাকেও মারধর করেন।
এই ডিবি কর্মবর্তা বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মেজো ছেলে হান্নান ও ছোট ছেলে মান্নানও আহত বাবা-মা ও বোন-জামাইকে মারধর করে তাদের কাছ থেকে জয়নাল আবেদীনের শেষ সম্বল জমি বিক্রির ৩১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় জয়নাল ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। পরে দুই ভাই হান্নান ও মান্নান এবং সহযোগী সোহেলসহ চারজনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ২৯ লাখ উদ্ধার করা হয়। তাদের আদালতে পাঠানোর পর আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আহত বৃদ্ধ জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, এরা আগে কখনো আমার কাছে টাকা চায়নি। কেন হঠাৎ করে এরকম করলো জানি না। কোনো বাবা-মা যেন আর কখনো এমন ঘটনার সম্মুখীন না হন। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যেন আর কেউ এমন ঘটনা না ঘটায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।