রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা আগের সব লোকসান কাটিয়ে লাভের আশা করছেন। সে কারণে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কাঙ্গাল পাড়া গ্রামের কৃষক মানিকুজ্জামান ১৫ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। ফসলও বেশ ভালো হয়েছে। তাইতো হাসি মুখেই বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে ধান আবাদ করে চরম লোকসান হচ্ছিল। এবার বাজারও ভালো, আবহাওয়াও অনুকূলে রয়েছে। সবকিছু মিলে লোকসান হবে না। এ মৌসুমে ঘরে আসবে অতিরিক্ত মুনাফা।’ তিনি বলেন, আরো প্রায় তিনদিন সময় লাগবে ধান কাটতে। এরপর শুরু হবে ধান মাড়াইয়ের কাজ। বাবুলের মতো জেলায় অনেক কৃষক এবার চলতি মৌসুমে লাভের আশা করছেন। উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামের কৃষক আমিরুজ্জামান বলেন, ‘বীজতলা থেকে শুরু করে ধান কাটা পর্যন্ত বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। এবার আশা করছি ধানের ফলন পাওয়া যাবে বিঘাপ্রতি প্রায় ১২ মণ পর্যন্ত। এতে বর্তমান বাজারমূল্যে বস্তাপ্রতি বিক্রি হবে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। তিনি বলেন, নতুন ধানের গন্ধে ভরে উঠবে মন। ধান বিক্রি করে ছেলেমেয়ের নতুন জামা, জুতা, বই, খাতা, কলমসহ নবান্ন’র উৎসবে মেতে উঠবে গ্রামের কৃষক। উপজেলার খাতামধুপুর, কাশিরাম বেলপুকুর ও বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, ধান কাটার এমন চিত্র। শ্রমিকরা ধানের বোঝা নিয়ে দলে-দলে ফিরছেন জমির মালিকের বাড়িতে। তবে টুপামারী ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের ধান কৃষক খোকন বলেন, শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতেও মিলছে না গ্রামে লোক। অনেকে বাধ্য হয়ে ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী পরিবার-পরিজন নিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। উপজেলায় ছোটখাটো গার্মেন্টস কারখানা, শিল্প কলকারখানা ও ইপিজেড এ নানা কাজ করছেন শ্রমিকরা। এর ফলে শ্রমিকের সংকট বেড়েছে। ৮ থেকে ১০ জনের শ্রমিক দল করে ধান কাটছেন দিনমজুররা। এই দলের দলনেতা আব্দুর রশিদ শ্রমিক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, প্রতিদিন ৪০০ টাকা মজুরিতে ধান কাটছি আমরা। গ্রামের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় কেউ শহরে রিকশা, ইজিবাইক, ভ্যানগাড়ি চালাচ্ছেন। আবার কেউ উপজেলার বাইরে বিভিন্ন কাজ করছেন। সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণে অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে জেলায়। কৃষকরা এবার লাভেরও মুখ দেখবেন এমনটাই আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হোমায়রা ম-ল জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় গত দুই-তিন বছরের তুলনায় এবারে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে উপজেলায় শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকের ঘরে ধান তুলতে বেশ বেগ পেতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।