পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে তিন কারণে ডিসঅ্যাপেয়ার (গুম) হয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনি (হাইকমিশনার) আগেই আমাদের কিছু লিখিত প্রশ্ন দিয়ে দিয়েছিলেন। যেগুলো নিয়ে তিনি আলাপ করতে চেয়েছিলেন। তাদের জিজ্ঞাসা ছিল, অনেকে মিসিং হয়ে যায়। অনেক নৃশংসতা বাংলাদেশে হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কী করেছি? এছাড়া দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়েও জিজ্ঞাসা করেছেন।
আমরা তাকে বলেছি, আমাদের জাতির পিতা যিনি আমাদের দেশ স্বাধীন করেছেন। যেখানে ৩০ লাখ মানুষের রক্ত ঝরেছে, ২ লাখ মা-বোনের চরম আত্মত্যাগ রয়েছে। স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় জাতির পিতাকে শাহাদাতবরণ করতে হয়েছে। কাজেই সবসময় আমাদের দেশে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত লেগেই আছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা অন্ধকার যুগ পেরিয়ে যার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ চলছে। আমরা সেই অন্ধকার থেকে বাংলাদেশ তৈরি করেছি। আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন। আমাদের সব সংবাদপত্র স্বাধীন। আমাদের এখানে এক হাজার ২৬৫টি স্বীকৃত দৈনিক সংবাদপত্র। সব মিলিয়ে সংবাদপত্র আছে ৩ হাজার ১৫৪টি, টিভি চ্যানেল আছে ৫০টি। এগুলো স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রচার করছে। তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়ে তারা যা ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকে, মতামত প্রকাশ করে থাকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও তিনি কথা বলেছেন। আমরা বলছিলাম, এটার সবচেয়ে বড় শিকার হলেন মহিলা ও শিশুরা। খুব কম সংখ্যক ৩ শতাংশের বেশি নয় রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা হয়েছে। এদের নিরাপত্তার জন্যই আইনটি ছিল। আইনমন্ত্রী বলেছেন, এটাকে আরেকটু সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে, আমরা সেটাই করছি। এখন কেউ মামলা করলে আমরা দেখি সে অপরাধটা করেছে কিনা- অপরাধ করলে মামলাটা নেয়া হয়। তিনি বলেছেন, আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৭৬ জনের মিসিং বা ডিসঅ্যাপেয়ারেন্স পার্সনের তালিকা দেয়া হয়েছিল। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, এই ৭৬ জনের মধ্যে ১০ জন তাদের বাড়িতেই আছে। দুজন জেলখানায় আছেন। আমরা তাকে বলেছি, আমাদের দেশে তিনটি কারণে ডিসঅ্যাপেয়ার (গুম) হয়। প্রথম কারণ হচ্ছে- ঘৃণ্য অপরাধ যারা করে, ভিডিওর মাধ্যমে আমরা দেখিয়েছি। পুলিশকে পিটিয়েও তারা হত্যা করেছে। আমরা এটাও দেখিয়েছি, কীভাবে তারা মানুষের সম্পদ ধ্বংস করেছে। যারা এগুলো করেছে তারা সীমান্তের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বিভিন্ন দেশে চলে গেছে। তারা ভারত বা মিয়ানমার কিংবা অন্য কোনো জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। বাকিগুলো সব আমাদের সঙ্গেই আছে। আজকে বিচার বিভাগ স্বাধীন, কাজেই বিচার এড়ানোর জন্যই তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সেটার একটা নমুনা আমরা তাকে দেখিয়েছি। কী ধরণের অপরাধ তারা করেছে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যে ঋণে যারা জর্জরিত তারা গা ঢাকা দেয়। হয়তো কয়েকদিন পরে আত্মপ্রকাশ করে। আবার যারা পারিবারিকভাবে অসুবিধায় পড়ে তারাও গা ঢাকা দেয়। এ তিন ধরনের লোকদের গা ঢাকা দিতে দেখেছি। এটা কমিশনারকে বলেছি। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাদের গ্রেপ্তার করে তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে সোপর্দ করে দিই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।