Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পিতাকে মাদকাসক্ত সাজিয়ে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানোর অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামে ইসলাম উদ্দীন (৬৫) নামে এক বয়স্ক ব্যক্তিকে মাদকাসক্ত সাজিয়ে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ইসলাম উদ্দীনের ছেলে জাহিদ এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। গ্রামবাসী জানায়, গত ২২ নভেম্বর ইসলাম উদ্দীন বাজার করতে চুয়াডাঙ্গা উপজেলার সরোজগঞ্জ হাটে যান। সাথে তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম ছিলেন। সরোজগঞ্জ বাজারের রাশিদুল ইসলামের জুতার দোকানে বসে থাকা অবস্থায় ৭/৮ জন যুবক সন্ত্রাসী স্টাইলে ইসলাম উদ্দীনকে বেধড়ক পিটিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে চুয়াডাঙ্গা শহরের দিকে নিয়ে যান। বাড়ি ফিরে জাহিদুল ইসলাম প্রচার করে তার বাবাকে কে বা কারা অপহরণ করে নিয়ে গেছে। গ্রামবাসীর চাপে ৪/৫ দিন পর ছেলে জাহিদুল জানায়, তার বাবা মাদকাসক্ত। তাই চুয়াডাঙ্গার প্রত্যয় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, টাকার বিনিময়ে চুয়াডাঙ্গার প্রত্যায় মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন ভালো মানুষকেও সন্ত্রাসী কায়দায় তুলে নিয়ে সেখানে আটকে রাখে। বয়োবৃদ্ধ ইসলাম উদ্দীনের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বিশ্বাস জানান, আমরা ইসলাম উদ্দীনকে চিনি। তিনি কখনোই মাদকসেবী ছিলেন না। পারিবারিক বিরোধর কারণে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে মাদকাসক্ত সাজানো হয়েছে। সাধুহাটী ইউনিয়নের আরেক সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, ইসলাম উদ্দীন ষড়যন্ত্রের শিকার। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। তিনি ইসলাম উদ্দীনকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেছেন।
নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভা এলাকার চাপালী গ্রামে এক হিজড়া বাড়িতে হানা দিয়ে ডাকাতরা ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ চার লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এ সময় ডাকাত দলের হামলায় আসমানি ও খাইরুন্নেছা নামে দুই হিজড়া আহত হন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গত ২৫ নভেম্বর একই গ্রামে সেলিম রেজার বাড়িতে ডাকাতরা হানা দিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে গ্রামটিতে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছিল। চাপালী গ্রামের হিজড়া খাইরুন্নেছা জানান, রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোরে ৭ থেকে ৮ জনের এক ডাকাতদল বাড়িতে প্রবেশ করে আমাদের অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে ডাকাতরা আমাকে ও আসমানিকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। এদিকে ২৫ নভেম্বর ডাকাতির শিকার সেলিম রেজা অভিযোগ করেন, আমার বাড়ি থেকে ডাকাতরা মোবাইল নিয়ে যায়। মোবাইলটি ৩ দিন খোলা ছিল। পুলিশকে জানালেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ডাকাতির সংবাদ জানার পর ঘটনাস্থলে এসআই সুকুমারকে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বয়স্ক ব্যক্তিকে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ