গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আট সাংগঠনিক সম্পাদককে নিয়ে আজ গণভবনে বৈঠকে বসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১০টায় এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে তৃণমূলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা জানতে চাইবেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়েও সাংগঠনিক সম্পাদকদের কথা শুনবেন তিনি।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, সভায় নেত্রী (শেখ হাসিনা) যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সে অনুযায়ী কাজ শুরু করব। আমাদের সাংগঠনিক রিপোর্ট নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমি রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক রিপোর্ট তৈরি করেছি। এ বিভাগে ইতোমধ্যেই সব জেলা সম্মেলন শেষ হয়েছে। ৭৬টি উপজেলার সম্মেলন শেষ করেছি। বাকি আছে ৬টি উপজেলা। সেগুলোও শিগগিরই হয়ে যাবে। পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজও চলছে।
দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন শুধু সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে আলাদা বৈঠক হয়নি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে এ বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন বিভাগে, কোন জেলায় কী অবস্থা, সাংগঠনিক দুর্বলতা কোথায়-সেগুলো চিহ্নিত করা হবে। দলীয় সভাপতি এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দিকনির্দেশনা দেবেন।
সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে ঢেলে সাজাতে চায় আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে দলটি কাজও শুরু করেছে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের ৭৮ সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ জেলার সম্মেলন করা হয়েছে। বাকিগুলোর চলতি বছর ডিসেম্বরের আগেই সম্মেলন শেষ করার প্রস্তুতি রয়েছে।
জানা গেছে, করোনাসহ নানা কারণে দলটির তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা সম্ভব হয়নি দলীয় প্রধানের। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এখন থেকে সিরিজ বৈঠকে করবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে আজকের বৈঠকের পর সেপ্টেম্বর থেকে জেলা নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু হবে। ছোট পরিসরে জেলা নেতাদের ডাকা হবে গণভবনে। সেখানে তৃণমূলের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেবেন দলীয় প্রধান। তার আগে তৃণমূলের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চান তিনি। সে কারণেই আজকের বৈঠকে সাংগঠনিক সম্পাদকদের বিস্তারিত সাংগঠনিক রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এর ভিত্তিতে কোন্দলপূর্ণ ও দুর্বল জেলাকে আগে ডাকা হবে গণভবনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।