মৌসুম শুরুর আগে থেকেই দলের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সাথে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সম্পর্কটা তলানিতে ঠেকেছিল। বলতে গেলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রণকৌশলে এই পর্তুগিজ তারকা অনেকটা গৌণ বিষয় হয়ে উঠছিলেন। শেষ কয়েক ম্যাচে একেবারে শেষ দিকে বদলি হিসেবে তাকে মাঠে নামানো হচ্ছিল। এ নিয়ে নিজের ক্ষোভটা অনেকটা রাগ ঢাক না রেখেই প্রকাশ করেছেন 'সিআর সেভেন'।
তবে গতকাল রোনালদোকে ম্যাচের শুরু থেকেই মাঠে নামায় ম্যানইউ। তবে তাতেও 'রেড ডেভিলসদের' ভাগ্যের খুব একটা বদল হয়নি।প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে ব্রাইটনের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল এরিক টেন হেগের শিষ্যরা।আর গতকাল ব্রেন্টফোর্ডের কাছে করেছে অনেকটা অসহায় আত্মসমর্পণ।ঘরের মাঠে রীতিমত রেড ডেভিলসদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছে ব্রেন্টফোর্ডের খেলোয়াড়েরা।ডি সিলভা-জ্যানসনরা গুনে গুনে চার চারবার বল জড়িয়েছেন ম্যানইউর জালে।
মূলত ম্যাচের প্রথমার্ধেই ম্যানচেস্টার রক্ষণভাগের উপর ঝড় বইয়ে দেয় ব্রেন্টফোর্ড।স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণে ২৫ মিনিটের ব্যবধানে চার গোল হজম করে বসে রেড ডেভিলসরা। ম্যানইউর বিপক্ষে গোল উৎসবের শুরুটা করেন ব্রান্ডফোর্ডের ইংলিশ মিড ফিল্ডার ডি সিলভা। ম্যাচের দশ মিনিটে তার দূর থেকে নেওয়া শর্ট ম্যানইউ'র গোলরক্ষক ডেবিড ডি গিয়া দৃষ্টিকটু ভাবে মিস করেন।১-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রেন্টফোর্ড। ৮ মিনিট পরেই স্বাগতিকদের হয়ে ব্যবধান দিগুণ করেন দলটির ড্যানিশ মিডফিল্ডার মাটিয়াস জ্যানসেন।১৮ মিনিটের মাথায় দুই গোল হজম করা এরিক টেন হেগের শিষ্যরা ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ৩০ মিনিটে করা বেন মিয়ের গোলে।৫ মিনিট পরেই তাদের লজ্জা বাড়ান ব্রেন্টফোর্ডের ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড ব্রায়ান এমবিউমো।৩৫ মিনিটেই ম্যাচের স্কোরকার্ড ব্রেন্টফোর্ড ৪-০ ম্যানইউ!
বাকিটা সময় আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চললেও গোলের দেখা পায়নি কোন দলই। চার গোলের ব্যবধানে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় রেড ডেভিলসদের।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম শীর্ষ এই দলটির সময় কতটা খারাপ যাচ্ছে তা কিছু পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তুলে ধরা যাক। এবারের মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে ম্যানইউ।গত ৩০ বছরে এটাই প্রিমিয়ার লিগে তাদের সব থেকে বাজে শুরু। এ নিয়ে গত সাত ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি রোনালদো-র্যাশফোর্ডরা।১৯৩৬ সালের পর থেকে এত লম্বা সময় ধরে আর কখনোই জয়হীন ছিল না রেড ডেভিলসরা।
আগামী ২২ এপ্রিল ওল্ড ট্রাফোর্ডে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।ম্যানইউ খেলোয়াড়রা দ্রুত ছন্দে ফিরতে না পারলে শক্তিশালী লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচের পরিণতিটাও হতে একই ধরণের।