পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যাকে বলে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। ‘দেশের মানুষ বেহেশতে আছে’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের এমন মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে। দেশের সর্বত্রই এ বক্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক চলছে। এমনকি দেশের গণমাধ্যমের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই অসংবেদনশীল বক্তব্যের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথা ফেসবুক, ব্লগ, টুইটার, ইউটিউবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে যেসব মন্তব্য, প্রতিবাদ, কথন, সমালোচনা হচ্ছে, সেসব বক্তব্য শব্দের আকারে দৈনিক পত্রিকায় ছাপার অযোগ্য। ওইসব শত শত অপ্রীতিকর, অশালীন মন্তব্যে হাজার হাজার লাইক পড়েছে।
দেশের গণমাধ্যম তথা দৈনিক পত্রিকা ও টেলিভিশনগুলোর প্রতি পাঠক-দর্শকের আস্থাহীনতার কারণে হালে শক্তিশালী হয়ে উঠা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। দেশে সবকিছুই দাম বেড়ে গেছে। পণ্যমূল্য নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের ত্রাহি অবস্থা। বেঁচে থাকার জন্য মানুষ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। নানাবিধ খরচ কমিয়ে দিয়েছে। পুঁজি ভেঙে ও ঋণ করে সংসার চালাচ্ছে। নিদারুণ কষ্টে মানুষ জীবনযাপন করছে। মানুষের এই দূরবস্থার মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন অসংবেদনশীল বক্তব্য বিপন্ন মানুষকে খেঁপিয়ে তুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক অদূরদর্শীতার কারণেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একের পর এক অসংবেদনশীল, কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন। এটা জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকার পরিণতি। অনেকে বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন। কারণ রাষ্ট্রের যে পরিমাণ সম্পদ লুটপাট হয়েছে, তাতে মন্ত্রী-এমপি এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কাছে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি কোনো বিষয় নয়। চালের কেজি ১০০ টাকা এবং গোশতের কেজি ২০ হাজার টাকা হলে সেটা তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই আছে। দেশের কোটি কোটি সীমিত আয়ের মানুষ ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে ফেললেও ওদের (মন্ত্রী-এমপি) ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল ও তাদের শরীক দলগুলোর নেতারাও ‘জনগণকে বিক্ষুব্ধ করতে পারে’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য ভালোভাবে নেননি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ কে আব্দুল মোমেনের ‘ভারত-বাংলাদেশ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, বিএনপিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চাওয়া, রাষ্ট্রহীন অবস্থায় আমেরিকা তাকে আশ্রয় দেয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, প্রবাসীরা দেশে এলে নবাবদাজা হয়ে যায়, গুম হওয়াদের অনেকের ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে, ঢাকায় কর্মরত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কিছুই জানেন না’সহ অসংখ্য অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করেছেন। তার এ ধরনের মন্তব্যে দেশের বিপদগ্রস্ত মানুষ বিক্ষুব্ধ হন; যা সরকারের জন্য অস্বস্তিকর। তবে দীর্ঘদিন বিদেশে চাকরি করে দেশে ফিরে এমপি ও মন্ত্রী হয়ে তিনি এসব বক্তব্য দিয়ে মিডিয়ায় ব্যাপক কভারেজ পাচ্ছেন। সিনিয়র নেতাদের চেয়েও অনেক বেশি প্রচারণা পেয়ে নিজেকে ‘নেতা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে যখন তোলপাড়, তখন গতকাল এক অনুষ্ঠানে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রত্যেককে কথা-বার্তা, আচার-আচরণে দায়িত্বশীল হতে হবে। দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো কথা বলা যাবে না। ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে দেশের জনগণের সঙ্গে ‘তামাশা’ মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘দেশের মানুষ যখন প্রতি মুহূর্তে ভোগান্তি পোহাচ্ছে, কষ্ট করছে, সেই সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি মানুষ বেহেশতে আছে। আমি দুঃখিত ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলছি। ইদানীং উনার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) চেহারার মধ্যে যেটা ফুটে উঠেছে, ক্ষিপ্ত হয়েছেন; বেশিরভাগ মন্ত্রীদের যেটা হয়েছে। দেশের অর্থ সম্পদ প্রচুর লুটপাট হচ্ছে। সেই লুটপাটের কারণে তারা জনগণের সঙ্গে পরিহাস, তামাশা শুরু করেছেন।’ তবে আওয়ামী লীগের অনুগত দল হিসেবে পরিচিত সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ‘সঠিক’ মনে করছেন। তিনি বলেছেন, ‘দেশের এমপি-মন্ত্রী আর আওয়ামী লীগ কর্মীরা সত্যিই বেহেশতে আছেন। সরকার সমর্থকরা সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়েছেন। তাদের কোনো অভাব নেই। প্রতিবছর তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন। নিজেদের দলের লোকদের বাঁচাতেই দুর্নীতিবাজ ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না সরকার। ফলে তারা তো বেহেশতে আছেন।’
‘শুধু বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে’ এ বক্তব্য নয়; পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কে এম আব্দুল মোমেনের আরো অনেক দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য বিতর্কের ঝড় তুলেছে। ওই সব অনাখাক্সিক্ষত বক্তব্য সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। ভারত দীর্ঘদিন থেকে তিস্তার পানি চুক্তি আটকে রেখে ফেনি নদীর পানি চুক্তি করেছে। এ ছাড়াও ভারত ট্রানজিট, সমুদ্র বন্দরসহ বাংলাদেশ থেকে অনেক সুবিধা নিয়েছে। তিস্তার পানি চুক্তি করেনি; সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। তিস্তা চুক্তির বিলম্প প্রসঙ্গে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কোলকাতার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রীর অমø-মধুর সম্পর্কে টুকটাক মতানৈক্য থাকলেও মিটে যায়। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সামান্য বিষয়। উভয় দেশই বিষয়টি মিটিয়ে নিতে সক্ষম।’ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তথা আন্তঃদেশীয় বিষয়ের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক উপমা সত্যিই দেশের বিবেকবান মানুষকে অবাক করেছে। নজিরবিহীন ও অভূতপূর্ব এই উদাহরণ সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল।
করোনাভাইরাসের সময় প্রবাসীদের নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করে বিতর্কের জড়িয়ে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন। দেশে যারা রেমিট্যান্স পাঠায়, তাদের প্রতি বিয়োদ্গার প্রকাশ করে ২০২০ সালের ২৭ মার্চ তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা দেশে এলে নবাবজাদা হয়ে যান।’ এরপর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে যারা দেশের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে।’ এতে প্রবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বিভিন্ন ‘ অপ্রীতিকর উপাধি’ দেয়।
২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশে গুম নিয়ে জাতিসংঘের তালিকা চাওয়া ইস্যুতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুদল মোমেন। ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া নিশ্চিত করতে ‘যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ’ চেয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেনকে অনুরোধ করেন। দেশের রাজনীতিতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের বিষয়ে ‘কঠোর ও সতর্কনীতি’ অনুসরণের কথা বলে আসছে সরকার। বিদেশিদের কাছে প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপ চেয়ে এভাবে দেশের কোনো মন্ত্রী অতীতে বক্তব্য দিয়েছেন কি-না, এ প্রশ্ন উঠে। ওই বৈঠকে ‘নিজে একসময় রাষ্ট্রহীন’ থাকার কথা উল্লেখ করে তার ব্যক্তিজীবনে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সব সময় আপনাদের কাছে (যুক্তরাষ্ট্র) আমার কিছু ঋণ আছে। কারণ আমি যখন গৃহহীন, বেকার এবং রাষ্ট্রহীন ছিলাম, তখন যুক্তরাষ্ট্রই আমাকে একটি বাড়ি এবং একটি চাকরি দিয়েছে। আমি এর জন্য কৃতজ্ঞ।’
ওই সময় বাংলাদেশের গুম বিষয়ে জাতিসংঘের তালিকা চাওয়া প্রসঙ্গে কে এম আবদুল মোমেন বলেন, ‘জাতিসংঘের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান আমাদের গুমের একটি তালিকা দিয়েছিল। পরে দেখা গেল, গুমের তালিকায় যাদের নাম তাদের অনেকে ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে।’
গত ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন-(ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টকে’ অংশ নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেন, ‘সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কোনো ব্যক্তির তথ্য চায়নি।’ পরের দিন এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অসত্য তথ্য দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হলে তারা এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি। সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিথ্যা কথা বলেছেন।’ দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অনেকেই সুইচ ব্যাংকের কাছে তথ্য চেয়ে কোন চিঠি পাঠানো হয়েছে, তা প্রকাশ করার দাবি জানালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চুপ হয়ে যান। ‘কানাডার বেগম পাড়ায় আমলাদের বাড়ি বেশি’ বক্তব্য দিয়েও তিনি বিতর্কের মুখে পড়েন। এ আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্করের একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করে বক্তব্য দিলে পরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ধরনের কথা বলেনি বলে বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন।
শুধু বিতর্কিত কথাবার্তা বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আলোচিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়নি। তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছেও বিতর্কিত। তিনি সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য অথচ গত জুন মাসে সিলেট শহরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যা হয়। লাখ লাখ মানুষ পানিতে ভাসতে থাকে এবং দুর্গতদের সহায়তার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে অর্থ আসে। এ সময় নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষকে বানের পানিতে ভাসতে দেখে ১৯ জুলাই ১৩ দিনের সফরে বিদেশ যান আব্দুল মোমেন। টানা ১৩ দিন তিনি রুয়ান্ডা, ইংল্যান্ড ও পর্তুগাল সফর করেন। ১৩ দিনের বিদেশ সফরে যাওয়ার দু’দিন আগে তিনি ভারত সফর করে দেশে ফিরেছিলেন। অথচ সিলেটের জনপ্রতিনিধি হিসেবে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াননি।
‘দেশের মানুষে বেহেশতে আছে’ বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার পর নিজের বক্তব্যের বাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দায় চাপিয়েছেন সাংবাদিকদের ওপর। ব্যাখ্যায় ড. মোমেন বলেন, ‘বেহেশতের কথা আমি বলেছি, কম্পারেটিভ টু আদার কান্ট্রি। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের মানুষ ভালো আছে, বোঝাতে গিয়ে বেহেশতে আছে বলেছি। আর আপনারা (সাংবাদিক) সব জায়গায় বেহেশত বলেছেন, মানে আমার বক্তব্য টুইস্ট করা হয়েছে। আপনারা বলেননি, আমাদের মূল্যস্ফীতি অন্য দেশের তুলনায় কম। আমি বলেছি, অন্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি এবং তাদের তুলনায় বেহেশতে আছি, এই কথা বলেছিলাম। কিন্তু আপনারা (সাংবাদিকরা) এক্কেবারে উল্টা!’
আগেই উল্লেখ করেছি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে যেসব কথাবার্তা, মন্তব্য, বক্তব্য ছাপা হয়েছে, সেগুলো দৈনিক পত্রিকায় প্রিন্ট আকাশে ছাড়ার অযোগ্য। তবে একজন লিখেছেন, ‘অযোগ্য ব্যক্তির কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না’। আরেকজন লিখেছেন, ‘অসভ্য অজ্ঞান মূর্খ মানুষ দেশের সাধারণ মানুষের অসুবিধা, মানুষের সমস্যা, মানুষের কষ্ট বিন্দুমাত্র বুঝে না’। অন্য একজন লিখেছেন, ‘আমরা সাধারণ জনগণ ভালো নেই। বেহেশত কি, চাইলে সব পাওয়া যায়। ওনারা পায় আমরা না। খুব কষ্টে মানুষ দিশেহারা হয়ে গেছে। এসব কথা বলার আগে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করা উচিত ছিল’। আরেকজন লিখেছেন, ‘মন্ত্রী ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ভাষা যদি এমন হয়, তাহলে বুঝা যায়, আমরা দেশে জনগণ মানসিক রোগী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।