Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্দোলনের নামে হামলা-ভাঙচুর, বোমাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা : তাজুল ইসলাম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২২, ৮:৩৮ পিএম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আন্দোলনের নামে কেউ হামলা-ভাঙচুর ও বোমাবাজি করে জনজীবন অতিষ্ঠ করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শনিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আন্দোলন গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এই অধিকারের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলার অধিকার কারো নেই। এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শেষ বা ধ্বংস হয়ে গেলো, মানবতা ভূলুণ্ঠিত হলো বলে যারা চিৎকার করছেন, তারা প্রমাণ করে দেন কীভাবে দেশ শেষ হয়ে গেল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন লড়াই-সংগ্রাম করে এই দেশ স্বাধীন করেছেন মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন বলে। সেই স্বপ্নপূরণে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। শেখ হাসিনার হাতে যতদিন দেশ থাকবে, বাংলাদেশ পথ হারাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বের মানুষ কষ্টে আছে। আমাদের দেশের মানুষের উপরেও প্রভাব পড়েছে। করোনা সংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পৃথিবীতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে আসন্ন মহাসংকট মোকাবিলা করার জন্য। এটা সাময়িক। এই সংকট মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে ইউকে-তে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে আসবে বলে গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। আরও অনেক দেশে সংকট তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল ও অন্যান্য দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করলে একথা অস্বীকার করা যাবে না যে আমরা ভালো আছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় মানুষের কল্যাণ চান। তিনি যখন যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সেটা অবশ্যই জনকল্যাণমূলক। জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেন বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে বলেই উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থা লোন দিতে আগ্রহী হয়। দেশ যদি লোন পরিশোধ না করতে পারে তাহলে জেনে শুনে কেউ তো অর্থ দেবে না। আবার বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে এটা জেনে কখনো কেউ লোন দেওয়ার কথা চিন্তাও করবে না। দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে বলে যারা অপপ্রচার চালিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করছেন তাদেরকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা প্রথম ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ অন্যান্য সব খাতে উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর তা বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশ পরিচালনা করছেন। উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খান বীরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রেবেকা সুলতানা এবং দেশের অধিকাংশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তাজুল ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ