মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে বড় একটি চালিকাশক্তি। করোনা সংঙ্কটে বিশ্বমন্দার সময়ও দেশের অর্থনীতির ওপর কোন আঁচ লাগতে দেননি দেশপ্রেমিক প্রবাসীরা। দেশের প্রতি মমত্ববোধ আছে বলেই দেশের উন্নয়নে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন তারা। তাই দেশের জন্য অনেক বড় অবদান রাখছেন বলেই তাদেরকে বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করে কখনো বলা হয় রেমিট্যান্স যোদ্ধা, রেমিট্যান্স সৈনিক, দেশের অর্থনীতির অক্সিজেন যোগানদাতা, দেশের অর্থনীতির প্রাণ, চালিকাশক্তি, প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে একেকজন রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়নের কারিগর। কিন্তু এতসব উপাধিতে সম্মানের জায়গায় রাখার পরও প্রবাসীরা কি তাদের সুযোগ-সুবিধাটুকু ঠিক মতো পাচ্ছেন? নাকি অবহেলিত। এমন প্রশ্ন রেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী আরব আমিরাত প্রবাসীরা বলেন, দেশের বিমানবন্দরে কন্ট্রাক্ট বাণিজ্য, ইমিগ্রেশনে হয়রানি, লাগেজ সমস্যা, পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রলি না থাকায় মাথায় বা কাঁধে নিয়ে প্রবাসীদের লাগেজ বহন, দেশের বাস স্ট্যান্ড ও লঞ্চ টার্মিনালেও বিদেশ ফেরত যাত্রীদের হয়রানি। জানা গেছে, লঞ্চ টার্মিনাল ও বাসস্ট্যান্ডের নানা রকম হয়রানি থেকে বাঁচতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করা দূর-দুরান্তের বিভিন্ন জেলায় যাওয়া যাত্রীদের অনেকে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে লঞ্চ টার্মিনাল বা বাস স্ট্যান্ডে যাওয়ার আগেই তাদের মালামাল কুরিয়ার সার্ভিসে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন। ফলে নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত প্রবাসীরা পদে পদে পান দুর্ভোগ, লাঞ্ছনা আর তিরস্কার।
আবার পাসপোর্ট নবায়ন করাতে গিয়ে নানা রকম জটিলতা। বিশেষ করে ই-পাসপোর্ট করাতে দিলে জন্ম নিবন্ধনের তথ্য ঠিক আছে কিনা তা দেশে তদন্তের নামে হয়রানি, বিলম্বে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া, পুরাতন পাসপোর্টে থাকা তথ্যের সাথে নবায়নকৃত নতুন পাসপোর্টের তথ্য বা শব্দগত বানান ঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে না দেখা, নবায়নকৃত পাসপোর্ট দেশ থেকে সময় মতো না আসায় বিশেষ কোন প্রয়োজনে দেশে যেতে না পারা, পুরাতন পাসপোর্টে এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ভিসা নবায়নের কাজ করাতে পারলেও হাতে লেখা মেয়াদ বাড়ানো ওই পাসপোর্টে দেশে গিয়ে পুনরায় আসার সুযোগ না থাকা।
অপরদিকে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠালে নানা অজুহাতে গ্রাহকের পরিবার-পরিজনদের দ্রুত সময়ে না পাওয়া, আবার ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে কখনো কখনো হয়রানির শিকার হওয়া। তাই যারা রেমিট্যান্স নামের সোনার ডিম পেড়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের নিয়ে এত অবহেলা কেন? এমন অসংখ্য প্রশ্ন প্রবাসীদের। তাই বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে দেশের উন্নয়নে প্রবাসীরা যেন আরো ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন সে কথাটি মাথায় রেখে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া জরুরি বলে মনে করেন প্রবাসীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।