গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দেশে গণতন্ত্রকামী মানুষকে মনিটর করার জন্য সরকার বিদেশে থেকে ড্রোন নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সমাবেশে ইরান থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ড্রোনের আমদানি প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ কয়েকদিন আগে একটা খবর আমার চোখে পড়েছে যে, সরকার বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারা ইরান থেকে ২১টা ড্রোন আমদানি করেছে এবং তারা বলেছে যে, এই ড্রোন নিয়ে এসে ভাসা্নচরে পরীক্ষা করে দেখবে। স্বরাষ্ট্র নিজে গিয়েছিলেন, দেখেছেন যে ড্রোন কীভাবে চলে?”
‘‘এই ড্রোন কি করবেন? ভাসান চরের রোহিঙ্গাদেরকে তারা(সরকার) মনিটর করবে। আসলে তারা এগুলো নিয়ে এসেছে এদেশের মানুষদের মনিটর করার জন্য, এই ড্রোন নিয়ে এসেছে যারা গণতন্ত্র চায় তাদেরকে মনিটর করার জন্যে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ড্রোনের নাম শুনলে আমরা খু্ব ভয় পাই। কেনো ভয় পাই? যে আমরা দেখছি ড্রোন দিয়ে কিভাবে অন্যদেশে গিয়ে বিভিন্ন নেতাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দেখেছি যে, এই ড্রোন দিয়ে কিভাবে যারা গণতন্ত্র চায়, গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই করছে, সংগ্রাম করেছে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।”
কাকরাইল থেকে ফকিরেরপুল পর্যন্ত নয়া পল্টনের দীর্ঘ সড়কে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর এই সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে বিএনপির মিডিয়া বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে জনসমাবেশ স্থলে একটি ড্রোন উড়তে থাকলে নেতা-কর্মী তা দেখতে থাকেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের মঞ্চের সামনে আছেন। তারা জানেন যে, তারা কতটুকু লিখতে পারেন, তারা জানেন যে, তারা কতটুকু ছবি দেখাতে পারবেন। ওই সকাল ১০টা থেকে তারা ছবি নিচ্ছেন। অফিস গিয়ে হয়ত তারা ২ সেকেন্ড/ ৩ সেকেন্ড আপনাদের ছবিগুলো দেখাতে পারবেন।”
‘‘ এজন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব তিনি যারা আমাদের মিডিয়ার কাজ করেন তাদেরকে বলেছেন যে, তোমরা একটা কাজ করো ওই ড্রোন দিয়ে … আপনারা সব ড্রোনের দিকে তাকাচ্ছিলেন। আমি তখন জিজ্ঞাসা করলাম যারা ওই ড্রোন চালানোর সাথে জড়িত আছেন তাদেরকে বললাম যে, আপনারা যে ড্রোন চালাচ্ছেন এটা তো বেআইনি। তারা বললেন না। কতগুলো ড্রোন আছে যেগুলো ৫ পাউন্ডের নিচে সেগুলোর জন্য কোনো অনুমতি লাগে না।”
সমাবেশে আসার পথে পথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাধা প্রদান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ উত্তরা থেকে নেতা-কর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেন এবং তাদের মুক্তির দাবি জানান।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিসহ দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিনের উদ্যোগে এই সমাবেশে হয়।
নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পাঁচটি ট্রাককে একত্রিত করে উন্মুক্ত মঞ্চ নির্মাণ করা হয়। দুপুর ২টায় শুরু হয়ে সমাবেশ শেষ হয় বিকাল ৬ টার পর। ফকিপুলের মোড় থেকে কাকারাইল পর্যন্ত পুরো সড়ক ও ফুনপাতের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে সমাবেশটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর নয়া পল্টনের সামনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বিএনপি সমাবেশ করেছিল।
দুপুর থেকে মিছিলে নিয়ে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করছে নয়া পল্টনে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তার কারেণে কাকরাইল, শান্তিনগর,মালিবাগ, পুরানা পল্টন, আারামবাগসড়কসহ তার অলি-গলিতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।