Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সরকারি গাড়ির তেল চুরি করে বিক্রি করতো চক্রটি, জড়িত চালকরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২২, ৬:৪৫ পিএম

রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় সরকারি অফিসের আধিক্যের কারণে সরকারি গাড়ি ও বেশি। একটি চোর চক্র এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে এই এলাকার সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ৫০টি গাড়ি থেকে তিন থেকে চার লিটার করে তেল চুরি করতো। একটি দোকান দিনে প্রায় ২০০ লিটার চোরাই তেল কিনতো। যার মাসিক হিসাব প্রায় ৬ হাজার লিটার। এ রকম মোট তিনটি দোকানে মাসে প্রায় ১৮ হাজার লিটার জ্বালানি তেল বেচা-কেনা হতো। সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়িচালক ও এই তেল চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকা থেকে জ্বালানি তেল চুরি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আবু কালাম (৫৬), মো. সুমন (৪০), মো. বাবু (২১), মো. শাহিন (১৯)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ লিটার অকটেন ও পেট্রল উদ্ধার করে পুলিশ।

একইদিন বিকেলে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান প্রযুক্তি জাদুঘরের সামনের কয়েকটি দোকান সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল গাড়ির জ্বালানি তেল চুরি করে বিক্রি হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ (বুধবার) দুপুরে তেজগাঁও জোনের এসি মো. মাহমুদ খানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তিনটি দোকান থেকে প্রায় ৬০০ লিটার অকটেন ও পেট্রল উদ্ধার করা হয়। এ সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আজিমুল হক বলেন, দোকানগুলো প্রতি লিটার অকটেন ১০০ টাকায় কিনতো। এরপর খোলাবাজারে ১২৮ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি করতো। প্রতি লিটার পেট্রল ১১০ টাকায় কিনে ১৩০ টাকা এবং প্রতি লিটার ডিজেল ১০০ টাকায় কিনে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করতো।


পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি সরকারি গাড়ি থেকে তিন থেকে চার লিটার তেল কিনতো এবং দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০টি গাড়ি থেকে তেল সংগ্রহ করতো অর্থাৎ প্রতিদিন একটি দোকানে সরকারি গাড়ি থেকে আনুমানিক ২০০ লিটার তেল কিনতো। যার মাসিক হিসাব প্রায় ৬ হাজার লিটার দাঁড়ায়।


ডিসি আজিমুল হক বলেন, এ রকম মোট তিনটি দোকানে মাসে প্রায় ১৮ হাজার লিটার চোরাই তেল কেনা-বেচা হয়ে আসছিল। আগারগাঁও এলাকায় সরকারি অফিসের আধিক্যের কারণে এই চক্রটি এই এলাকাকে টার্গেট করে এমন অসাধু কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বলে তদন্তে পাওয়া যায়।


তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য পেয়েছি যা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি যে সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়িচালক এই তেল চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদেরও বিষয়টি জানানো হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ