Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গমাতা ছিলেন সতত প্রেরণাদায়ী মহীয়সী নারী : শিল্প প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২২, ১০:১৫ পিএম

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী, সতত প্রেরণাদায়ী। তিনি রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত না থেকেও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতি প্রেরণার সবচেয়ে বড় উৎস ছিলেন।

তিনি বলেন, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুকে ফজিলাতুন নেছা মুজিব প্রশ্নহীনভাবে সমর্থন দিয়েছেন, মনোবল, সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন।

আজ রাজধানীর রূপনগর এলাকায় মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ভবনের অডিটোরিয়ামে বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, তার সহজাত মানসিকতা, সাহস ও আত্মবিশ্বাসী সত্তা দ্বারা তিনি প্রভাবিত হয়েছেন। কর্মের মাধ্যমেই তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন একটি সংগ্রামমুখর জীবনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দিনের পর দিন বঙ্গবন্ধুর কারাগারে থাকাবস্থায় শত সংকট মোকাবেলা করেও তিনি সংসার সামলে ছেলেমেয়েদের লালন-পালন করেছেন, তাদের পড়াশোনা করিয়েছেন। কোন দিন স্বামীর প্রতি ন্যূনতম অভিযোগ না করে তার রাজনৈতিক লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে নিরস্তর উৎসাহ জুগিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে, নেতৃত্বের প্রশ্নে আওয়ামী লীগে যখনই কোন সংকটের কালো ছায়া ঘনীভূত হয়েছে, বঙ্গমাতা সেই কালো ছায়া দূর করার জন্য পর্দার অন্তরালে থেকে দৃঢ়, কৌশলী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। অত্যন্ত প্রখর স্মরণশক্তির অধিকারী বঙ্গমাতা আন্দোলন চলাকালীন প্রতিটি ঘটনা জেলখানায় সাক্ষাৎকারের সময় বঙ্গবন্ধুকে জানাতেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা এনে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে জানাতেন।

কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের আগে দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন পক্ষের নানামুখী প্রস্তাব ও পরামর্শে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া না দেওয়া নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত বঙ্গবন্ধুকে তিনি কারও পরামর্শ না শুনে নিজের কাছে যা সঠিক মনে হয় তাই বলতে পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুও তাই করেছিলেন। তিনি এমনই তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী ছিলেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবেই নয়, একজন নীরব দক্ষ সংগঠক হিসেবেও, যিনি ধূপের মতো নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়সম আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। বঙ্গমাতার মতো অত্যন্ত ধীরস্থির, দূরদর্শী, অসীম ধৈর্য ও সাহসী ভূমিকাই শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা হতে সহায়তা করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ