Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গমাতার জন্ম না হলে হয়ত স্বাধীনতার ইতিহাস ভিন্ন হতে পারত - স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২২, ৭:১৯ পিএম

জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অংশগ্রহণে ‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা; অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৮ আগস্ট ২০২২ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে। কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্পীকার ছাড়াও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, এমপি, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি স্পীকারের নেতৃত্বে ‍বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে দিবসটির তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গমাতার বহুমাত্রিক অবদান তুলে ধরে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।


প্রধান অতিথি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বঙ্গমাতার জন্ম না হলে হয়ত স্বাধীনতার ইতিহাস ভিন্ন হতে পারত মন্তব্য করে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টিসহ বহুমাত্রিক গুনাবলীর বিষয়ে আলোকপাত করেন । তিনি বলেন, দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী বঙ্গমাতা বাঙালীর সূদীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের নেপথ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি পদক্ষেপে শক্তি, সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, নির্লোভ ও শাশ্বত বাঙালী নারী হিসেবে তিনি অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। জাতির পিতা কারাগারে থাকাকালীন বঙ্গমাতা একদিকে যেমন দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতেন এবং দলকে সংগঠিত করতেন অন্যদিকে শক্তহাতে পরিবারের হাল ধরে মূল্যবোধ, শিক্ষা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সন্তানদের গড়ে তোলেন। তিনি বঙ্গমাতাকে ”বিরল ব্যক্তিত্ব” ও ”সাধারণের মাঝেও অসাধারণ” অভিহিত করে তাঁকে নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। বঙ্গমাতার আদর্শ ও চেতনা সকল নারীদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে- উল্লেখপূর্বক তিনি সকলের কাছে সেগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানান। তাঁরই অনুপ্রেরণা ও অনুরোধে বঙ্গবন্ধু কারাবন্দী অবস্থায় লেখালেখি শুরু করেন এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনীর মতো অমর গ্রন্থ রচনা করেন বলে তিনি যোগ করেন। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

বঙ্গমাতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট এবং ১৯৭১-এর সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধি ও শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ