Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সউদী নিয়ে নির্যাতন, টার্গেট দরিদ্র-তালাকপ্রাপ্ত নারী

কনকর্ড অ্যাপেক্স রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকসহ দুইজন গ্রেফতার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান কনকর্ড অ্যাপেক্স রিμুটিং এজেন্সি। প্রতিষ্ঠানটি দেশের প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র, তালাকপ্রাপ্ত, স্বামীর সংসারে নির্যাতিত নারীদের টার্গেট করে বিদেশে ভালো বেতন ও বিনামূল্যে হজ করার প্রলোভন দেখাতো। এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার নারী শ্রমিককে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিনড়ব দেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার পর প্রতিশ্রুতির কোনো কিছুই বাস্তবায়ন করা হতো না, বরং বিভিনড়ব অবৈধ কাজে বাধ্য করা হতো নারীদের। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গতকাল সোমবার কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত রোববার রাতে রাজধানীর পল্টন থানার সিটি হার্ট শপিং কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে কনকর্ড অ্যাপেক্স রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক আবুল হোসেন (৫৪) ও তার সহযোগী আলেয়া বেগমকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় বিদেশে পাঠানোর জন্য আনা তিন নারীসহ ৩১টি পাসপোর্ট, বিভিনড়ব তথ্য ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বৈধ প্রতিষ্ঠান কনকর্ড রিক্রুটিংয়ের আড়ালে নারী পাচার ও নির্যাতনের মতো অপকর্ম করে আসছে। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান। তার এ কাজের অন্যতম সহযোগী আলেয়া বেগমসহ দেশের বিভিনড়ব অঞ্চলে অসংখ্য দালাল রয়েছে। দালালদের মাধ্যমে চμটি মূলত সমাজের বেকার, অল্পশিক্ষিত, অসচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারগুলোর বিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের মধ্যেপ্রাচ্যসহ বিভিনড়ব দেশে অধিক বেতনে চাকরি, বিমানে ওঠার অভিজ্ঞতা, রাজকীয় থাকা খাওয়া সুবিধা, স্মার্টফোন নেওয়া এবং সউদীতে হজ করাসহ ধর্মভিত্তিক লোভনীয় চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠাতো।
বিদেশে যাওয়ার পর প্রথমে তারা ভুক্তভোগীদের জানালাবিহীন কক্ষে আটকে রাখে এবং পরে ২-৩ দিন পর বিভিনড়ব জনের বাসায় পাঠানো হতো।
বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর তাদের দিয়ে সব ধরনের কাজ করানো হতো। কিন্তু ঠিকমতো খাবার খেতে দেয়া হতো না। অকারণে বেধরক মারধরের মাধ্যমে অমানবিক নির্যাতন করা হতো। এমনকি বৈদ্যুতিক শক দেয়া হতো। চক্রের অন্যতম দালাল হিসেবে কাজ করা আলেয়া আগে পল্টন এলাকার বিভিনড়ব প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক সংগ্রহের কাজ করেছেন। ২০২১ সাল থেকে আবুল হোসেনের কনকর্ড রিক্রুটিং এজেন্সিতে শ্রমিক সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। বিদেশে পাঠানোর আগে এই শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ও বিভিনড়ব সাদা কাগজে সই নেয়া হতো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ