গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
গণমাধ্যম বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, প্রতিনিয়ত সাংবাদিক নির্যাতন-হত্যা বেড়েই চলছে। কোনো ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে না। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও সাগর-রুনীসহ কোনো সাংবাদিক হত্যার বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি। আমরা অবিলম্বে গণমাধ্যম বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল ও সাংবাদিক হত্যা নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
সোমবার দুপুরে সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন বন্ধ, সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল ও বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, তেল-গ্যাস ও সকল দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ এখন দিশেহারা। তেল-গ্যাসসহ সকল নিত্যপণ্যের মূল্য অবিলম্বে সাধারণ জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে নিয়ে আসুন। অন্যতায় জনরোষে আপনাদের পালানোর পথও থাকবে না।
তারা বলেন, সাংবাদিক হত্যা নির্যাতন বন্ধ করুন। অবিলম্বে সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার করুন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল করে বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিন। তা নাহলে সাংবাদিক সমাজ বসে থাকবে না। দাবি আদায়ের জন্য সাংবাদিক সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, এই সরকার সাংবাদিকদের খুন-গুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। আমাদেরকেও কারাগারে নেয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। সরকারের দুর্নীতি ও অনিয়মে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন এই সরকারের পতন ছাড়া দেশের মানুষের মুক্তি নাই। তাই বিরোধী দলগুলোকে বলবো এখন আর সভা-সমাবেশ নয়, দুর্বার আন্দোলন করে সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিআরইউ-এর সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশীদ আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হাসান খান, ডিইউজের সিনিয়র সদস্য কায়কোবাদ মিলন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।