পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত কর্মকর্তারা অদক্ষ ও অযোগ্য বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। অর্থ আত্মসাতের ২৬টি মামলায় পাটকল শ্রমিক জাহালমের কারাভোগের ঘটনায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান সংক্রান্ত রায়ে আদালত এ অভিমত দেন। রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সতর্কও করা হয়েছে। গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় প্রকাশিত হয়। দুদকের অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
রায়ে আদালত বলেন, দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালন করেনি। তদন্ত রিপোর্টেও এটি উঠে এসেছে। কিন্তু সব দেখে মনে হয়েছে তার কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে ছিল না। এখানে দুদকের ৩১ ধারা (সরল বিশ্বাসের ভুল) প্রযোজ্য। যদিও তারা অদক্ষ ও অযোগ্য। কিন্তু আমরা ওই অফিসারদের প্রতি ক্ষতিপূরণ আরোপ করছি না। এখানে সালেকের স্থলে জাহালমকে জড়ানোর কোনো উদ্দেশ্যে দেখছি না।
দুদকের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেন, একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত স্বাধীন কর্তৃপক্ষ। আইন ও বিধি অনুসারে তাদের তদন্ত কার্যক্রম চালাবে। ভবিষ্যতে কোনো মামলায় কোনো ব্যক্তিকে এ ধরণের ভুলভাবে যেন না জড়ানো হয় সে বিষয়ে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না...’শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট অমিত দাশ গুপ্ত। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ ৪ কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। তাদের প্রতি রুল জারি করেন। একই বছর ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজির হওয়ার পর হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন।একই সঙ্গে মামলার তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে ব্যাখ্যা চান।দুদক হলফনামার মাধ্যমে ঘটনার ব্যাখ্যা দাখিল করে।পরে জাহালম প্রশ্নে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ৩৩ মামলার এফ আই আর, চার্জশিট, সম্পূরক চার্জশিট এবং সব ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল জাহালম কাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা খতিয়ে দেখার জন্য দুদকের প্রতিবেদন চান। এসব মামলায় দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদনও দাখিল করতে বলা হয়। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রুলের ওপর শুনানি হয়।রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ব্র্যাক ব্যাংককে এক মাসের মধ্যে জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেন। টাকা পরিশোধ করে এক সপ্তাহ পর রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।এ ঘটনায় দুদকের পদক্ষেপ নিয়ে উচ্চ আদলত বলেন, দুদকের আইনজীবী প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছেন Ñএ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করে ১১জনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের সম্পর্কে আদালত বলেন, তদন্ত রিপোর্টে দেখা যায়, বিশেষত ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা সালেকের স্থলে জাহালমকে এনেছে। তাদের এ কার্যক্রম তদসন্ত কর্মকর্তাকে ভুলপথে পরিচালিত (মিসগাইড) করেছে। আর তারা ইচ্ছা করে এ কাজ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।