গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জ্বালানি তেলের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ও লুটপাটের প্রতিবাদে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলোর ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ১৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।
আজ রবিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আহতরা হলেন- সানি আব্দুল্লাহ (২৩), বাঁধন (২৩), শান্তা (১৮), জাওয়াদ আহমেদ (২৫), দাবির আহমেদ জুবেন (২৩), দীপা মনি (২২), আদনান (২৪), শাহাদাত (২০), ইভান (২১), অনিক (২০), দিয়া মল্লিক (২৭), তানজিল (২২) ও তামজিদ (২৪)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী সংগঠনের সভাপতি সাদিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, শাহবাগ থেকে আহত হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ১৩ জন এসেছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে ঘটনার পর সমাবেশে অংশ নেওয়া ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অনিক রায় বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা সমাবেশে বিনা উসকানিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এতে আমাদের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি আছেন। হামলা করে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এই হামলার প্রতিবাদে সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা ১২টায় মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিল-পরবর্তী সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।