Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামীলীগ আর কত লাশ চায়- সিলেটে কৃষকদলের বিক্ষোভ সমাবেশ সিসিক মেয়র আরিফ

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২২, ৫:৪৫ পিএম

ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলীগের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা ও মানুষের ভোটাদিকার ফিরিয়ে দিকে আওয়ামীলীগ আর কত লাশ চায় ? সরকার বাকশালী কায়দায় দেশ শোষন করতে গিয়ে লাশের উপর ক্ষমতায় মসনদে দাঁড়িয়ে আছে। সরকার বিরোধী দলের গঠনমুলক সমালোচনা সহ্য করতে পারেনা। জনগনের দাবী আদায়ে কথা বললে রাস্তায় গুলি করে মারে। ভোলার ঘটনাই প্রথম নয়, ২০০৯ সাল থেকে তারা কত মায়রে বুক খালি করেছে তার হিসাব নেই। হত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় ঠিকে থাকা যায়না।

আজ রোববার বিকেলে ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও ছাত্রদল নেতা নুরে আলমের হত্যার প্রতিবাদে সিলেট জেলা ও মহানগর কৃষকদল কর্তৃক আয়োজিত বি্েক্ষাভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সিলেট জেলা কৃষক দলের আহবায়ক শহিদ আহমদ চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তাজরুল ইসলাম তাজুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আমরা সরকারকে বার বার সতর্ক করেও কাজ হয়নি। তারা লাগামহীন লুটপাট করে দেশকে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির দিতে ঠেলে দিয়েছে। জনগন শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদও করতে পারে না। প্রতিবাদ করলে তারা দেশের মানুষকে পাখির মত গুলি করে মারছে। এবার আর সতর্ক নয়, প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। যেখানেই বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা হবে, সেখানেই দেশের জনগনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আওয়ামীলীগের এবার আর রক্ষা নেই। নিরবিচ্ছিন্ন আন্দোলন শুরু হলে আওয়ামীলীগ পালাবার রাস্তাও খোঁজে পাবে না।
সিলেট জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করতে গিয়ে শেখ মুজিবের বাকশালকেও হার মানিয়েছে। শেখ হাসিনার পায়ের নিচে মাঠি নেই, দেশে রিজার্ভ নেই। লুটপাট করে দেশের সব টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। যে কারনে দেশ আজ গভীর সংকটে পড়েছে। মানুষ কথা বললে গুলি করে। কথা বলার স্বাধীনতা নাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই, ভোটাধিকার নাই, তেল নাই, গ্যাস নাই, বিদ্যুৎ নাই। চারি দিকে শুধু নাই আর নাই। একদিন দেখবেন শেখ হাসিনাও ক্ষমতার মসনদ থেকে নাই হয়ে গেছে।
জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি সুরমান আলী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, এডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, কৃষক দল নেতা মাসুক উদ্দিন, আব্দুল জব্বার টুটু, গিয়াস আহমদ, আলমাছ চৌধুরী, শাহীন আহমদ, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, জেলা বিএনপি নেতা মাহবুব আলম, মনিরুল ইসলাম তোরন, শাহীন আলম জয় প্রমূখ।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিক্ষোভ সমাবেশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ