Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে ‘গণতন্ত্রের মৃত্যুর’ প্রতিবাদ গান্ধীদের

কাশ্মীরকে ভারতে অন্তর্ভুক্তি ও বাবরি মসজিদের স্থলে রাম মন্দিরের ভিত্তিস্থাপন ইস্যু উপেক্ষিত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৭ এএম

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস নেতাদের শুক্রবার দিল্লিতে আটক করা হয়েছিল, কারণ তারা ভারতে ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু’ উপলক্ষে ৫ আগস্ট দিবস পালন করছিল। ২০১৯ সালের এই দিনে বিতর্কিত জম্মু ও কাশ্মীরকে সংযুক্ত করার বিষয়ে নিষ্ক্রিয় থাকা, যে বিষয়টির দলটি বিরোধিতা করেছিল এবং পরে ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় প্রস্তাবিত মন্দিরের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান, যার দলটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখায়, কংগ্রেস এর পরিবর্তে মুদ্রাস্ফীতি, অন্যায্য বাণিজ্য কর এবং বিক্ষোভ দমন করতে ব্যবহৃত কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল।

রাহুল গান্ধী বলেছেন, যে কেউ জনগণের সমস্যা উত্থাপন করে এবং ‘স্বৈরাচারের সূচনার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়’ তাকে ভয়ঙ্করভাবে আক্রমণ করা হয় এবং জেলে দেওয়া হয়। কংগ্রেস সদস্যরা তাদের প্রতিবাদ নথিভুক্ত করায় এ ইস্যুটি সংসদের উভয় কক্ষে স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল।
মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য কালো পোশাক পরে কংগ্রেস নেতারা রাস্তায় নেমেছিলেন এবং সংসদ কমপ্লেক্স এবং অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) সদর দফতরের বাইরে পুলিশ কর্মীদের সাথে নাটকীয় সংঘর্ষে লিপ্ত ছিলেন।

মি. গান্ধী, রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভার নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কে.সি. ভেনুগোপাল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রসহ শীর্ষ নেতাদের আটক করে পুলিশ। এআইসিসি সদর দফতরের বাইরে নাটকীয় মুহূর্ত ছিল যখন মিসেস ভদ্র একটি ব্যারিকেডের ওপরে উঠেন এবং প্রতিবাদে বসেন।
সংসদের উভয় কক্ষ মুলতবি করতে বাধ্য করার পর পার্টি প্রধান সোনিয়া গান্ধীসহ কংগ্রেস সদস্যরা প্রেসিডেন্ট ভবনের দিকে মার্চ করার চেষ্টা করার আগে ১ নম্বর গেটে জড়ো হন। কংগ্রেস সংসদ সদস্যদের অবশ্য দিল্লি পুলিশ বিজয় চক লনের কাছে বাধা দেয় এবং প্রেসিডেন্ট ভবনের দিকে যেতে দেওয়া হয়নি।

মিসেস গান্ধী, যিনি অন্যান্য মহিলা সাংসদের সাথে একটি ব্যানার ধারণ করেছিলেন, তিনি মিছিলে অংশ নেননি। অন্য সংসদ সদস্যদের বিজয় চক থেকে আটক করে পুলিশ।
দ্য হিন্দু জানিয়েছে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি. চিদাম্বরম, মণীশ তেওয়ারি, অন্যান্য লোকসভা সদস্য মানিকম ঠাকুর এবং গৌরব গগৈ ৬৪ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ছিলেন যাদেরকে পুলিশ বাসে করে কিংসওয়ে ক্যাম্প পুলিশ লাইনে নিয়ে গিয়েছিল।

মি. গান্ধী তার গ্রেফতারের ঠিক আগে বলেছিলেন এবং যোগ করেছেন: ‘আমরা এখানে মূল্যবৃদ্ধির ইস্যু উত্থাপন করতে এসেছি। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে’।
তার সংসদীয় সহকর্মীদের হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মি. গান্ধী ডিন কুরিয়াকোসকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার ছবি পোস্ট করেছেন এবং মি. ভেনুগোপাল এবং মি. চৌধুরী রাস্তায় শুয়ে পুলিশি পদক্ষেপকে প্রতিরোধ করছেন। পার্টির প্রকাশিত ভিডিওগুলিতে কংগ্রেস নেতাকে তার সহকর্মী দীপেন্দর হুদাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে, যাকে পুলিশ কর্মীদের দ্বারা টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সূত্র : ডন অনলাইন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ