Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাস সংখ্যা অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে সদরঘাটে, বেড়েছে যাত্রীচাপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২২, ৮:৫৫ পিএম

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পুরান ঢাকার সদরঘাটে কমেছে বাসের সংখ্যা। ফলে বেড়েছে যাত্রীচাপ। যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করলেও তা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মালিকেরা। শনিবার বিকেলে সদরঘাট এলাকা ঘুরে এমন অভিজ্ঞতা মিলেছে। জানা গেছে, সদরঘাট থেকে ঢাকার বিভিন্ন রুটে নিয়মিত পাঁচটি কোম্পানির ৫২০টির বেশি বাস চলাচল করে। তবে আজ তা নেমে দাঁড়িয়েছে ২২৪ টিতে।

সদরঘাট থেকে সাভার নবীনগর রুটে ১৪০টি বাস নিয়মিত চলে। কিন্তু আজকে চলছে ৬২টি। সদরঘাট-চন্দ্রা রুটে আজমির পরিবহনের ১৫০টি বাস চললেও আজ ৪২টি চলছে। ভিক্টর পরিবহন সদরঘাট থেকে বাইপাইল রুটে নিয়মিত ১৭০টি বাস চালায়, আজ চলছে ৯২টি। সদরঘাট থেকে মিরপুর রুটে নিয়মিত বিহঙ্গ পরিবহনের ৫২টি বাস চললেও আজ চলছে ২১টি। সদরঘাট থেকে চিড়িয়াখানা রুটে তানজিল পরিবহনের ২৫টি বাস চললেও আজ চলছে ১১টি।

নবীনগর থেকে সাভার পরিবহনে সদরঘাটে আসা আবুল হোসেন বলেন আমি এ রুটে নিয়মিতই চলাচল করি। সবসময় ৭০ টাকা দিয়ে এলেও আজ আসতে ভাড়া নিলো ১০০ টাকা করে। তাও আবার আসতে হয়েছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। অন্যদিকে মিরপুর ১২ থেকে বিহঙ্গ পরিবহনে করে সদরঘাটে আসছেন জেসমিন আক্তার নামে এক নারী যাত্রী। তিনিও এ রুটে নিয়মিত চলাচল করেন। আগে এ রুটে সদরঘাট থেকে মিরপুরে ৬০ টাকা ভাড়া নিলেও আজকে তার আসতে হয়েছে ৯০ টাকা দিয়ে। এ ছাড়াও ঢাকার এয়ারপোর্ট, আব্দুল্লাহপুর, মহাখালী থেকে সদরঘাটে আসা একাধিক যাত্রীর কাছে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি জিজ্ঞেস করা হলে তারা তা নিশ্চিত করেছেন । পাশাপাশি তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি সরকার যেন ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়।

যাত্রীদের অভিযোগ সম্পর্কে একাধিক বাস কোম্পানির পরিচালকদের কাছে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন, বিভিন্ন রুটে আগে যে পরিমাণে গাড়ি চালানো হতো, তা অর্ধেকের চেয়েও কমানো হয়েছে। এতে যাত্রী চাপ কিছুটা বেড়েছে। আর ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যখন সিদ্ধান্ত নেবে তখন থেকে তা কার্যকর করা হবে। এখন আগের ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের পুনর্নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, লিটারপ্রতি অকটেন ১৩৫ টাকা ও লিটারপ্রতি পেট্রোল ১৩০ টাকা করা হয়। এতদিন কেরোসিন ও ডিজেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রোল ৮৬ টাকা প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ