মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফেব্রুয়ারীতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর তেলের দাম আগের জায়গায় ফিরে এসেছে। বৃহস্পতিবার থেকে ব্যারেল তেলের দাম সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। কারণ, বিনিয়োগকারীরা ক্রমবর্ধমান আশঙ্কায় প্রতিক্রিয়া জানায় যে মন্দার ফলে শক্তির চাহিদা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে।–নিউইয়র্ক টাইমস, ব্লুমবার্গ, রয়টার্স
ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের একটি ব্যারেল বৃহস্পতিবার এক পর্যায়ে ব্যারেল প্রতি ৮৮ ডলারেরও কম দামে হস্তান্তর করছিল। ফেব্রুয়ারি থেকে এমন একটি স্তরে লেনদেন আর কখনো হয়নি। এই দাম ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে ছিল, যা একটি বিস্তৃত যুদ্ধের ভয়ে তেলের দামকে বছরের পর বছর তাদের সর্বোচ্চ স্তরে ঠেলে দিয়েছিল এবং এই অভাব পূরণের জন্য অনুমোদিত রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল সংকটে থাকা দেশগুলিকে প্রেরণ করেছিল।
ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেনে জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর হ্রাস পেয়ে গত সপ্তাহ শেষ হয়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য নেমেছে ৮৯ ডলারে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছিল তেলের দাম। গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই তেল নিয়ে সংকট প্রকট হতে শুরু করেছিল। এবার গত ছয় মাসের মধ্যে খুব নিম্নমুখী হলো তেলের দাম। বর্তমানে মন্থর বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা। এরই মধ্যে শিল্প কার্যক্রম কমে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা কমেছে। ফলে তেলের মূল্যও কমেছে। মাত্র দুই মাস আগেও ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ছিল ১২০ ডলারের ওপরে। ধীরে ধীরে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য কমছে। সাম্প্রতিক সময়ে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোতে উৎপাদন বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদাও কমেছে। এ ছাড়া সময় যত গড়াচ্ছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা তত বাড়ছে। এতে তেলের দর কমছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ইউএস বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডাব্লিউটিআই) তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৯ ডলারের নিচে নেমে যায়। গত মার্চে যার দর উঠেছিল ১২৪ ডলারে। তার চেয়ে যা ২৯ শতাংশ কম। আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয় ৯৪ ডলারে। এডওয়ার্ড জোন্সের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ফয়সাল এ হারসি বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দরপতনের অন্যতম কারণ এখন বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার দিকে। তারা দেখছেন উদ্ভূত কঠিন পরিস্থিতি কিভাবে গোটা বিশ্বের জ্বালানির চাহিদাকে প্রভাবিত করে। এদিকে লিবিয়া থেকেও সরবরাহ বেড়েছে। ফলে অস্থিরতা কিছুটা কমে যাওয়ার ব্যাপারে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।