মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান ভ্রমণে গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গন নড়েচড়ে উঠেছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং তাইওয়ান ঘিরে উত্তেজনা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। এর মধ্যে ছড়াচ্ছে নানা ভুয়া খবরও। তেমনই একটি ন্যান্সি পেলোসি ও চীনের গ্লোবাল টাইম সংবাদপত্রের সাবেক প্রধান সম্পাদকের বিয়ের ভুয়া ছবি। টুইটারে ছবিটি দিয়ে একজন লিখেছেন, ‘যখন তারা তরুণ ছিলেন: ন্যান্সি পেলোসি এবং হু শিজিন’।
সত্যতা যাচাই : ডয়চে ভেলের সত্যতা যাচাই অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পুরনো দুইটি ছবিকে জোড়া দিয়ে এই ছবিটি তৈরি করা। মূল ছবির একটিতে ন্যান্সি পেলোসি বসে আছেন তার পরিবারের সঙ্গে। অন্যদের সঙ্গে সেই ছবিতে ছিলেন তার বাবা রাজনীতিবিদ থমাস ডি’ আলেসান্দ্রো জুনিয়রও। পেলোসি এই ছবি পোস্ট করেছিলে ফ্লিকারে। ক্যাপশনে লেখা আছে, ‘তরুণ বয়সে পরিবারের সঙ্গে’। তার একটি প্রাচারমূলক পেইজেও এই ছবিটি রয়েছে।
হু শিজিনকে পাওয়া যায় ভিন্ন আরেকটি ছবিতে। গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চে এই সাংবাদিকের নিজের একটি টুইট মিলে। যেখানে তিনি চীনের সামরিক বাহিনীতে থাকার সময়ের স্মৃতিচারণ করেছেন। সেই টুইটে সাংবাদিকের এই ছবিটিও রয়েছে, যা পেলোসির সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে।
পেলোসি ও শিজিনের বয়সের পার্থক্য : ফরেনসিক ইমেজ বিশ্লেষণেও ছবির দুই অংশে রংয়ের ভিন্নতা পাওয়া যায়, যা প্রমাণ করে দুইজন আসলে এক ছবিতে ছিলেন না। পেলোসি ও শিজিনের বয়সের তফাতও প্রমাণ করে যে ছবিটি ভুয়া। মার্কিন রাজনীতিবিদের বয়স ৮২ বছর। হু শিজিন তার চেয়ে ২০ বছরের ছোট। পেলোসির ছবিটি ১৯৬০ সালের। পরিবর্তিত ছবিতে দুইজনকে একই বয়সি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ১৯৬০ সালে শিজিন কেবল জন্ম নিয়েছেন।
ছবিটি যে ভুয়া ইন্টারনেট দুনিয়ায় তা অনেকেই বুঝতে পেরেছেন। অনেকে এটিকে স্যাটায়ার হিসেবে দেখছেন। কিন্তু অনেকেই আবার ভাবছেন তাদের বিয়ের তথ্যটি সত্যি। হু শিজিন ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের কড়া সমালোচকদের একজন। এজন্য চীনের জবাবে সামরিক জবাব দেয়ার পক্ষে তিনি। তার মতে এটিই যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানকে বোঝানোর একমাত্র উপায়। এ নিয়ে তিনি লিখেছেন চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে। অন্যদিকে টুইটারে তিনি লিখেছেন চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মির উচিৎ পেলোসির বিমান তাইওয়ানে আসার পথে ‘গুলি করে’ ভূপাতিত করা। এরইধ্যে টুইটার তাকে সাময়িক ব্লক করেছে। শিজিন তার টুইট পরে মুছে ফেলেছেন। এমন বাস্তবতায় পেলোসি ও শিজিনের বিয়ের ভুয়া ছবিকে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকে কৌতুক হিসেবেই দেখছেন। ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।