গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত বলেছেন, ঢাকা-সিরাজগঞ্জ হাইওয়েতে ঈগল পরিবহনের বাসের ঘটনা বলে দেয় আমাদের দেশের হাইওয়ে পুলিশের দ্বায়িত্বহীনতার প্রমাণ। হাইওয়ে পুলিশ একদিকে ব্যস্ত থাকে চাঁদা তোলার কাজে আর অন্যদিকে সাধারণ মানুষের জানমালের দ্বায়িত্ব থাকে ডাকাত, নির্যাতকদের হাতে। অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, গত ২ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় কুষ্টিয়া থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে ঈগল পরিবহনের বাসে যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড়ে সুসংগঠিত একটি ডাকাত দল যাত্রীবেশে গাড়িতে উঠে ২৪/২৫ জন যাত্রীকে জিম্মি করে তাদের টাকা পয়সা, ফোনসহ সঙ্গে থাকা সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। যাত্রীদের জিম্মি করে তাদের উপর অত্যাচার করে কাউকে কাউকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। শেষে বাসে থাকা মহিলা যাত্রীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। ডাকাতদল এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাত দলের এই কাজ চলে। আমরা অবিলম্বে গণপরিবহনে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ধর্ষক ও ডাকাত দলের শাস্তি এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি করছি।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের অর্থ সম্পাদক নাইমা খালিদ মনিকা বলেন, দেশে প্রতিনিয়ত মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যাহত হচ্ছে। যখন থেকে গণপরিবহনে নারী নির্যাতন ও ধর্ষন শুরু হয়েছিল তখন থেকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। ফলে এটি বেড়েই চলেছে। বরং এটি বোঝানো হয়েছে যে নারীরা অধস্তন তাদের উপর কর্তৃত্ববাদীরা এমন করতেই পারে। অবিলম্বে এই ধর্ষকদের শাস্তি দাবি করছি। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।